বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৬ এএম

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ভবন। ছবি : সংগৃহীত
শাসনব্যবস্থায় পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগ থেকে গেছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৪। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে সারসংক্ষেপে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা শিক্ষার্থী আন্দোলন এবং পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত মানুষের প্রাণহানির পর ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন। পরে ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টের ওই ঘটনাগুলোর পর দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, তবে উদ্বেগ রয়ে গেছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক, প্রবাসে থাকা সমালোচকদের হয়রানি, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও হুমকি, সেন্সরশিপ, শ্রমিক অধিকার সীমিতকরণ, শ্রমিক নেতা ও অধিকারকর্মীদের ওপর হুমকি এবং শিশুশ্রমের মতো গুরুতর ইস্যুতে।
আরো পড়ুন : মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান
বিগত সরকারের আমলে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়মুক্তি ব্যাপকভাবে বিদ্যমান ছিল এবং অপরাধীদের শনাক্ত বা শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ ছিল অপ্রতুল। তবে সরকার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূর্ববর্তী প্রশাসনের অনেক সদস্যকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জুলাই ও আগস্টে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে দেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়ই ব্যবহার করা হচ্ছে।