খাগড়াছড়িতে থমথমে পরিস্থিতি, ১৪৪ ধারা বলবৎ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ এএম

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কয়েকদিনের অবরোধ, মিছিল ও সহিংসতার পর উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজন পাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার ও শহীদ কাদের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় স্বনির্ভর ও নারিকেল বাগান এলাকায় কয়েকটি দোকানেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি অবনতির পর খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনার কার্যকারিতা এখনও বলবৎ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএনও দায়িত্বে আছে।
সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত এক ব্যক্তিকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে। রাতে বৌদ্ধবিহারে নাশকতার প্রস্তুতির সময় তিন পাহাড়ি যুবককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরো পড়ুন : খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ
সহিংসতার কারণে সাজেক ভ্রমণে থাকা প্রায় দুই হাজার পর্যটক কিছু সময় আটকা পড়েন। পরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তারা খাগড়াছড়ি হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরেছেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। অবরোধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলা ও টায়ারে আগুন দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। আলুটিলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ও নারানখাইয়া এলাকায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিছুক্ষণ পর আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আসে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, পরিস্থিতি উন্নত না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।