শেকৃবির উপাচার্য ও নিপসমের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা নকলের অভিযোগ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম

শেকৃবির উপাচার্য ও নিপসমের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা নকলের অভিযোগ
এবার গবেষণা নকলের অভিযোগ উঠেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ এবং নিপসমের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ব-বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম শরওয়ারের বিরুদ্ধে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশারের গবেষণা প্রতিবেদন হুবহু নকল করে প্রকাশ করেছে। এই ঘটনায় গতকাল রবিবার ওই দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অধ্যাপক কবিরুল বাশার অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে তার প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি হুবহু নকল করে ২০১৭ সালে প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। উপাচার্য লতিফের গবেষণা প্রবন্ধে মূল লেখকের অনুমতি ছাড়াই তার কাজ ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে সহকারী গবেষক হিসেবে ছিলেন নিপসমের অধ্যাপক মো. গোলাম শরওয়ার।
কবিরুল বাশার বলেন, তারা আমার গবেষণার ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড এমন কি আমার টেবিল, ডাটা চুরি করেছে। অধ্যাপক মো. গোলাম শরওয়ার ও অধ্যাপক এম এ লতিফ এই কাজটি করেছেন। সম্প্রতি একজন বিদেশি গবেষক তারা পত্রিকা পড়তে গিয়ে বিষয়টি নোটিশ করেছেন এবং আমাকে জানিয়েছেন। ওই বিদেশি গবেষক যখন আমাকে সেটির কপি পাঠান তখন আমি বিষয়টি জানতে পারি। এর আগে আমি তা জানতাম না। আমি মনে করি, এহেন কাজ বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। খুবই আশ্চর্যজনক বিষয়, অধ্যাপক মো. গোলাম শরওয়ার সেখানে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এরমানে তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঠিকানাটি ব্যবহার করেছেন সেটিও নকল। এই চৌর্যবৃত্তির চর্চা যদি আমরা থামাতে না পারি তাহলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, গবেষণা বিজ্ঞান ধ্বংসের মুখে পড়বে। যারা গবেষণা করছে তারা নিরুৎসাহিত হবে। সে জন্য আমার অনুরোধ, এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যেন হয়।
আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ বলেন, অধ্যাপক মো. গোলাম শরওয়ার ও অধ্যাপক এম এ লতিফ হুবহু কপি করে একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি সরাসরি একটি চুরি। ফৌজদারি অপরাধ। বহির্বিশ্বে এই বিষয়টিকে খুব খারাপ ভাবে দেখা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রবিবার জানিয়েছি। যে জার্নালে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে সেটি যেন দ্রুত ওয়েবসাইটসহ যেখানে যেখানে প্রকাশিত হয়েছে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করেছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা নোটিশে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মো. গোলাম শরওয়ার ও অধ্যাপক এম এ লতিফের মন্তব্য জানতে ফোন করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।