গোপালগঞ্জে কারফিউ চলাকালে যৌথবাহিনীর অভিযান, আটক ১৪

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

কারফিউয়ের মধ্যেই শহরের সড়ক, হাট-বাজার ও দোকানপাটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার কারফিউ কার্যকর রয়েছে। এরই মধ্যে যৌথবাহিনীর অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতের এই অভিযানে আটককৃতদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
বুধবার সকাল থেকে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন, আহত হন অন্তত ৫০ জন। নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের যুবলীগ কর্মী দীপ্ত সাহা (২৫), থানাপাড়ার রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়ার ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার সোহেল মোল্যা।
আরো পড়ুন : গোপালগঞ্জে কারফিউ, থমথমে শহরে সড়কে যান চলাচল সীমিত
দিনভর সংঘর্ষের জেরে সন্ধ্যা ৮টা থেকে শুরু হওয়া কারফিউ চলবে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৬টা পর্যন্ত। কারফিউয়ের মধ্যেই শহরের সড়ক, হাট-বাজার ও দোকানপাটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির কড়া নজরদারি চলছে। জেলা কারাগারের সামনেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সংঘর্ষের মধ্যে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানের (এপিসি) সহায়তায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, নেতা আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম এপিসিতে উঠে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে তারা খুলনা সার্কিট হাউস ও এক হোটেলে অবস্থান নেন।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, কারফিউ চলাকালে শহরের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।