গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২০

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০২:০৫ পিএম

সবাইকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট আটকের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও মুজিববাদীদের হবে না : নাহিদ
তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার থেকে আজ পর্যন্ত সেনাবাহিনী আটক করেছে ১৫ জন। পুলিশ আটক করেছে ৫ জন। এ নিয়ে মোট ২০ জন আটক আছে। সবাইকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান।
বুধবার সকাল থেকে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন, আহত হন অন্তত ৫০ জন। নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের যুবলীগ কর্মী দীপ্ত সাহা (২৫), থানাপাড়ার রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়ার ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার সোহেল মোল্যা।
দিনভর সংঘর্ষের জেরে সন্ধ্যা ৮টা থেকে শুরু হওয়া কারফিউ চলবে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৬টা পর্যন্ত। কারফিউয়ের মধ্যেই শহরের সড়ক, হাট-বাজার ও দোকানপাটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির কড়া নজরদারি চলছে। জেলা কারাগারের সামনেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সংঘর্ষের মধ্যে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানের (এপিসি) সহায়তায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, নেতা আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম এপিসিতে উঠে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে তারা খুলনা সার্কিট হাউস ও এক হোটেলে অবস্থান নেন।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, কারফিউ চলাকালে শহরের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।