×

অর্থনীতি

এলডিসি উত্তরণ: রপ্তানি বাণিজ্যে গলার কাঁটা

Icon

মরিয়ম সেঁজুতি

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

এলডিসি উত্তরণ: রপ্তানি বাণিজ্যে গলার কাঁটা

ছবি: সংগৃহীত

স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম প্রণয়ন করা হয়। গত পাঁচ দশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ হয়েছে সবমিলিয়ে মাত্র আটটি দেশের। উত্তরণের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আরো তিনটি দেশ। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও; আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তবে আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের জন্য দেশের বেসরকারি খাত প্রস্তুত নয়। শিল্পের বহুবিধ সংকটের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণ আত্মঘাতী হবে বলে মনে করেন রপ্তানিমুখী ব্যবসায়ীরা। কারণ, উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ রপ্তানি বাণিজ্যে অগ্রাধিকার হারাতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে আরো তিন থেকে পাঁচ বছর সময় চেয়েছেন তারা। 

ব্যবসায়ীদের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে উত্তরণ আরো তিন বছর পেছানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে এক্ষেত্রে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেছেন, এ ধরনের প্রস্তাব যখন আনি, তখন আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র জাপান, তুরস্কের মতো দেশগুলো এর বিরোধিতা করে। আমরা এবার চেষ্টা করছি, তাদের সহায়তা নেয়ার জন্য। 

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য কারিগরিভাবে বাংলাদেশ যোগ্য। তবে উত্তরণ পেছাতে চাইলে এখনই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।   

এদিকে, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণে প্রস্তুতির অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দেয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট জাতিসংঘের সিডিপির চেয়ার হোসে অ্যান্টোনিও ওকাম্পো বাংলাদেশ সরকারকে এ চিঠি দিয়েছেন। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আগামী অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সরকারকে পাঠানো সিডিপির চিঠিতে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধিকে ভার্চুয়াল উপায়ে ওই বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সভার এজেন্ডা, তারিখ ও সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারীদের তালিকা যথাসময়ে জানানো হবে বলে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রস্তুতির কী অবস্থা, তা জানিয়ে প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিডিপির কাছে পাঠানো হবে বলে সূত্রগুলো বলছে। তবে এলডিসি উত্তরণ পেছানোর আবেদন করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে এখনো নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। এ বছরের ১৩ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এলডিসি উত্তরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সে সময় থেকেই কিছু সুবিধা নিয়ে আসছে। বিশেষত শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধাসহ নানা রকম সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু দারিদ্র্য দেশ হিসেবে থাকছে না, তাই এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এটা একটি স্বাভাবিক এবং চ্যালেঞ্জিং বিষয়ও বটে। 

এলডিসি উত্তরণের তিনটি মানদÐ আছে। এগুলো হলো মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। বাংলাদেশ ২০১৮ ও ২০২১ সালের ত্রিবার্ষিক মানদণ্ডের তিনটিতেই উত্তীর্ণ হয়। ২০২১ সালেই বাংলাদেশ চূড়ান্ত সুপারিশ পায় ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ হতে পারে। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে প্রস্তুতির জন্য বিষয়টি আরো দুই বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশ যদি এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হয়, তাহলে বাংলাদেশই হবে প্রথম দেশ, যারা তিনটি সূচকেই উত্তীর্ণ হয়ে বের হবে। 

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দেয়া এককভাবে সরকারের হাতে নেই। এছাড়া উত্তরণ ২০২৬ সালে হোক বা তার পরে হোক, কাজ একই। শিল্প খাতকে প্রণোদনানির্ভর প্রবৃদ্ধি থেকে উৎপাদনশীলনির্ভর প্রতিযোগিতায় যেতে হবে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তিনি জানান, সঠিক সময়ে উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কর ও ঋণনীতি এবং জ্বালানি নিয়ে দুটি জাতীয় সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তিনি স্বীকার করেন, কিছু খাত আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ব্যবসা সহজ করার জন্য এনবিআর, চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন দপ্তরের দক্ষতা বাড়ানো হচ্ছে। 

বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সাধারণ সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব না হলে বিকল্প ভাবতে হবে। যেমন, কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে ছাড় চাওয়া যেতে পারে। ইইউর সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর ও এলডিসি থেকে উত্তরণের পর জিএসপি প্লাসে শর্ত সহজ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।

বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান বলেন, অক্টোবর-নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশের ইকোনমিক ভালনারেবিলিটি, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স ভালনারেবিলিটিসহ সার্বিক মূল্যায়ন করবে জাতিসংঘের সিডিপি। সেখানে সরকার উত্তরণ পেছাতে চায় কিনা, চাইলে তার কারণ কী, এসব উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে। এই মূল্যায়নের পরও সরকার আগ্রহী হলে উত্তরণ পেছানোর আবেদন করতে পারবে। তবে তখন পেছানো বেশ কঠিন হবে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলেও ইইউ, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীনসহ বাংলাদেশের ৬৭ শতাংশ রপ্তানি বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। দেশের রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। এ অবস্থায় অক্টোবর-নভেম্বরে সরকার উত্তরণ পেছানোর আবেদন করলেও সেজন্য যৌক্তিক কারণ খুঁজে বের করা কঠিন হবে।  

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) এই গবেষক আরো বলেন, দুটি দেশ যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পিছিয়েছে। এর মধ্যে একটি অ্যাঙ্গোলা। তিনটি শর্তের মধ্যে একমাত্র মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) শর্তপূরণ করে দেশটি গ্র্যাজুয়েশন নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমে যাওয়ায় তেল রপ্তানিনির্ভর দেশটির মাথাপিছু জিএনআই জাতিসংঘের শর্তপূরণের চেয়েও কমে যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা গ্র্যাজুয়েশন পিছিয়ে দেয়। আর ভয়াবহ ভ‚মিকম্পের কারণে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পিছিয়েছে নেপাল। 

এদিকে এলডিসি তিন বছর পেছানোর জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেনি। এলডিসি উত্তরণ হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান আইন অনুযায়ী জিএসপি প্লাস সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার অভাব ও কাস্টমসের সমস্যা নিয়ে রপ্তানিকারকরা অভিযোগ করেছেন। এলডিসি উত্তরণে সম্ভাব্য সমস্যা, তার সমাধান ও একটি কার্যকর রোডম্যাপ তৈরি করা জরুরি, যা নিয়ে সরকার এখনো পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য নিয়মিত ও বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন।

এলডিসি উত্তরণ বাতিল না করে সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েশন হবেই, তবে সময় নির্ধারণে সরকার ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে বসতে হবে। জ্বালানি সংকট ও কাস্টমস জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধাক্কা আসবে। তিনি আরো বলেন, আলোচনা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট তথ্য, উপাত্ত, বিশ্লেষণ ও প্রমাণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। যেখানে উভয় পক্ষ একসঙ্গে বসে বিদ্যমান তথ্য পর্যালোচনা করবে। কেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট আলাদা? মাশরুর রিয়াজ বলেন, নেপাল বা লাওসের মতো দেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। ১৯৭৮-৭৯ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মূলত রপ্তানিনির্ভর। রপ্তানি খাতই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, লেনদেন ভারসাম্য বজায় রাখা, আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মূলধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, শিল্পে দিনে আট থেকে ৯ ঘণ্টা লোডশেডিং এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। নতুন শিল্প ইউনিটে গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া দুর্বল ব্যাংক খাত, উচ্চ সুদের হার, বড় অঙ্কের অর্থপাচার এবং সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ ব্যবসার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজাদ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি দেশের আগামী বছর এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য অনুক‚ল নয়। উত্তরণের পর ইইউতে ১২ শতাংশ এবং কানাডায় ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, যা প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেবে।

লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, উত্তরণ হওয়া উচিত নিয়ন্ত্রিত অবতরণের মতো, দুর্ঘটনাজনিত পতন নয়। প্রযুক্তিগত যোগ্যতা মানে প্রস্তুত থাকা নয়। এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে আমলাদের দাবি সঠিক নয় উল্লেখ করে নাসিম মঞ্জুর বলেন, প্রকৃতপক্ষে বেসরকারি খাত প্রস্তুত নয়। এখনই উত্তরণ হলে তা আত্মঘাতী হবে। সরকার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিকে অবিলম্বে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি যাচাই করতে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলেন সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। তিনি আগামী ২৫ নভেম্বর ওই কমিটির পর্যালোচনায় বাংলাদেশকে উত্তরণ পেছানোর প্রস্তাব দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তার মতে, বাংলাদেশ ইইউ ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছে লবিং করতে এবং নেপাল ও লাওসের সঙ্গে যৌথভাবে সময় বাড়ানোর দাবি তুলতে পারে। 

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, এসএমইসহ বিভিন্ন খাত একের পর এক সংকটে পড়ছে। কিন্তু সরকারের সমর্থন প্রত্যাশিতভাবে আসেনি। আমরা উত্তরণ এড়াতে চাইছি না, তবে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় চাই প্রস্তুতির জন্য। এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, উত্তরণের ফলে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা ও সহজ শর্তে অর্থায়ন হারাতে হবে। তাই সরকারকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। 

এলডিসি উত্তরণ পেছাতে করণীয়

এলডিসি উত্তরণ পেছানোর ক্ষেত্রে দুটি প্রচলিত পথ আছে। প্রথমত, বাংলাদেশের সরকারপ্রধান জাতিসংঘের সিডিপিকে চিঠি দিতে পারেন। চিঠিতে বলতে হবে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে, যা সামাল দিতে ২০২৬ সালের পরও সময় প্রয়োজন। এ ধরনের চিঠি পাওয়ার পর সিডিপি একটি উপকমিটি গঠন করবে, যারা প্রাসঙ্গিক তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে এবং পরবর্তী সময়ে পুরো সিডিপির কাছে সুপারিশ করবে।

দ্বিতীয় পথটি হলো, বাংলাদেশের সরকারপ্রধান এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দেয়ার জন্য সরাসরি জাতিসংঘের মহাসচিবকে লিখতে পারেন। এরপর বিষয়টি বিবেচনার জন্য সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। যেমন তেলের দামের ধসের কারণে সব সূচক নেমে যাওয়ায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অ্যাঙ্গোলার এলডিসি উত্তরণ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায়। সাধারণ পরিষদে বিষয়টি সামাল দিতে প্রভাবশালী দেশের সমর্থন প্রয়োজন হয়। যেমন অ্যাঙ্গোলার ক্ষেত্রে পর্তুগাল বড় ভূমিকা রেখেছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে, সতর্ক করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে, সতর্ক করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

এখন পর্যন্ত কত দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো, বাংলাদেশ দিয়েছে কখন

এখন পর্যন্ত কত দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো, বাংলাদেশ দিয়েছে কখন

এলডিসি উত্তরণ: রপ্তানি বাণিজ্যে গলার কাঁটা

এলডিসি উত্তরণ: রপ্তানি বাণিজ্যে গলার কাঁটা

খাদ্যচক্রে ভারী ধাতু নীরবে মৃত্যুর পথে নিচ্ছে মানুষকে

খাদ্যচক্রে ভারী ধাতু নীরবে মৃত্যুর পথে নিচ্ছে মানুষকে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App