×

অর্থনীতি

পুঁজিবাজার: স্থিতিশীলতায়ও আস্থার সংকট

Icon

সেঁজুতি মরিয়ম

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০০ পিএম

পুঁজিবাজার: স্থিতিশীলতায়ও আস্থার সংকট

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা, অনিয়ম ও বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থাহীনতায় ভুগছে। ছোট বিনিয়োগকারীরা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সরে গেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে, তা বাজারে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পেরেছে। দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতা, অনিয়ম এবং খুচরা বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির অভিজ্ঞতার পর সংস্কারের পদক্ষেপগুলো বাজারকে খানিকটা স্থিতিশীল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডিএসই এক্স সূচকের উত্থান কিংবা লেনদেনের উত্থানকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো আস্থাহীনতা কাজ করছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজার কোনো চিরস্থায়ী গ্যারান্টিযুক্ত আয়ের উৎস নয়। ছোট বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, বিনিয়োগ করলেই মুনাফা নিশ্চিত, এ বাজারে যে ঝুঁকি আছে তা তারা মানতে চান না। ছোট বিনিয়োগকারীদের আরো ভালোভাবে বোঝাতে ডিএসই ও বিএসইসিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি।

মার্চেন্ট ব্যাংকার, ব্রোকার এবং অ্যাসেট ম্যানেজাররা বলছেন, গত এক বছরে আরো কিছু ইতিবাচক উন্নয়ন ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে একসময় ব্যাপক আকার ধারণ করা দুর্নীতি, অনিয়ম ও বাজার কারসাজি বন্ধের লক্ষ্যে কাঠামোগত পরিবর্তনের পদক্ষেপ। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার সরকারি পদক্ষেপকেও স্বাগত জানিয়েছেন তারা। তবে মানসম্পন্ন শেয়ারের সংকটের মতো একটি সমস্যা রয়েই গেছে। অংশীজনরা বলছেন, বিএসইসি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), মার্জিন ঋণ এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড-সংক্রান্ত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধিবিধান সংস্কারে ধীরগতিতে কাজ করছে। এ পরিবর্তনগুলোকে নতুন তালিকাভুক্তির জন্য জরুরি বলে মনে করা হয়। 

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংস্কারের ছোঁয়া অন্যান্য খাতে লাগলেও শেয়ারবাজারের অনিশ্চয়তা কোনোভাবেই কাটছে না। বাংলাদেশের শেয়ারবাজার একাধিকবার বড় ধসের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। প্রতিবারই বিনিয়োগকারীদের, বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভেঙেছে, বাজারের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমেছে। বাজার-সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এবার সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ডিমিউচুয়ালাইজেশন, তালিকাভুক্তির কঠোর নীতি, আধুনিক ট্রেডিং সিস্টেম, এমনকি বন্ড মার্কেট সক্রিয় করার প্রচেষ্টা; এসব নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। তবে কেবল নিয়ম প্রণয়ন করলেই হবে না, তার সঠিক প্রয়োগই হবে আসল পরীক্ষা। কারণ আগেও বহুবার বহু নিয়ম বানানো হলেও তার প্রয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরও সচেতন থাকার জন্য বলেন তারা। 

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গত রবিবার বলেছেন, পুঁজিবাজারকে যদি নিয়মিত আয়ের স্থায়ী উৎস মনে করা হয়, তবে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এখানে যেমন মুনাফার সুযোগ আছে, তেমনি ক্ষতির ঝুঁকিও রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে, শেয়ার ও বন্ড কেনা মানে কখনো কখনো ক্ষতিও ভাগ করে নেয়া।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যৌথভাবে আয়োজিত বন্ড মার্কেটবিষয়ক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাত অতিমাত্রায় ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের উভয় পক্ষই ঋণ নেয়, প্রায়ই সেই ঋণ পরিশোধ না করেই পার পেয়ে যায়। এটাই বাংলাদেশের ট্র্যাজেডি। ঝুঁকি ভাগাভাগির জন্য একটি কার্যকর পুঁজিবাজার এবং বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে বুঝতে হবে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সঙ্গে ঝুঁকি জড়িত। পুঁজিবাজার কোনো চিরস্থায়ী গ্যারান্টিযুক্ত আয়ের উৎস নয়। শেয়ারবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীরা মনে করেন বিনিয়োগ করলেই মুনাফা নিশ্চিত। এই বাজারে যে ঝুঁকি আছে, তা তারা মানতে চান না। ছোট বিনিয়োগকারীদের আরো ভালোভাবে শিক্ষিত করতে ডিএসই ও বিএসইসিকে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ক্যাপিটাল মার্কেট এখনো উন্নত হয়নি। সরকারি বন্ড সেগমেন্ট থাকলেও সেখানে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ খুবই কম, আর শেয়ারবাজারে প্রায় নগণ্য। ফলে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় প্রকল্পগুলো ঝুঁকি ভাগাভাগি না করে কেবল ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। এতে ঋণখেলাপি ও তহবিল অপব্যবহারের ঘটনা ঘটছে, যা দেশের জন্য বড় ট্র্যাজেডি। 

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়াকড়ির কারণে এখন দুর্বল কোম্পানির বাজারে প্রবেশের সুযোগ সীমিত হয়েছে অনেকটাই। ফলে বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। অনলাইন ও মোবাইল ট্রেডিং বিনিয়োগকে আরো সহজ করছে। এতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত অনেক বেশি তথ্যনির্ভর হয়ে উঠছে। আরো একটি ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে বিএসইসি। ২০২৫ সালে বিএসইসি মার্জিন ঋণের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের নিয়ম করেছে, যা মূলত ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের প্রবণতা কমাবে। কমপক্ষে ৫ লাখ বিনিয়োগ এবং নিয়মিত আয় থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মার্জিন ঋণ নেয়ার জন্য। অর্থাৎ ছাত্র, গৃহিণী, অবসরপ্রাপ্ত যারা নিয়মিত আয় করেন না, তারা মার্জিন ঋণ পাবেন না। কারণ, মার্জিন ঋণ ঝুঁকির পরিমাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং নিয়মিত আয় না থাকা মানুষদের জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি নেয়া একদমই অনুচিত বলে মনে করে বিএসইসি।

তথ্য অনুযায়ী, ঝুঁকি আরো কমানোর লক্ষ্যে ১০ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগকারী হয়ে থাকলে তিনি পোর্টফোলিওর অর্ধেক, ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হলে পোর্টফোলিওর পূর্ণ মূল্যের ঋণ দেয়ার নীতি করা হয়েছে। মার্জিন ঋণে বোর্ড সদস্য হওয়ার সুযোগ বন্ধ ও বিভিন্ন ঝুঁকির বিরুদ্ধে স্টক মার্কেটকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই নিয়মগুলো বাজারে অতিমূল্যায়ন বা ঋণের ভিত্তিতে লেনদেনের প্রবণতা কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে; বিশেষ করে ২০১০ ও ২০১১-এর মতো অতীতে সংঘটিত মার্জিন কালোবাজারির পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট রুপালী চৌধুরী বলেন, আমাদেরকে এখন নতুন শেয়ারের পাইপলাইন বাড়াতে হবে। অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট একটি সংস্থার প্রধান নির্বাহীর হিসাবে, বিনিয়োগযোগ্য শেয়ারের সংখ্যা ১০টিরও কম। গত এক বছরে কোনো কোম্পানি আইপিও চালু করেনি। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার তালিকাভুক্তির নিয়মগুলো পর্যালোচনা করছে, যাতে যথেষ্ট সময় লাগে, ফলে অন্তত আরো ছয় মাস কোনো আইপিও আসার আশা করছেন না তারা। বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, বিগত সময়ে যেসব পুঁজিবাজারে যে অনিয়ম হয়েছে, তার ডিসিপ্লিন ফেরাতে তৎপর ছিল কমিশন। এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন জোরদার করা হয়েছে। কারসাজির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে, যেন বাজারের শৃঙ্খলা বিঘিœত না হয়। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে না। কেবল আইনের পরিপালন নিশ্চিত ও দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন নীতিতে কাজ করছে। বাজার সংস্কারের টাস্কফোর্স বিদ্যমান আইনকানুন সংষ্কারে যে সুপারিশ দিয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করছে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজার এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ডিসিপ্লিনড (সুশৃঙ্খল)। একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে, কারসাজি সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত কমিশনগুলো এমনভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছে, যা ছিল তার আইনি ম্যান্ডেটের বাইরে। এ কমিশন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে না, এটা খুবই ভালো দিক। বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলছে। তিনি বলেন, বাজারে বিগত এক বছর কোনো আইপিও আসেনি, যা জোগানকে সীমিত করেছে। আইনকানুন সংষ্কার করে মৌলভিত্তির ভালো কোম্পানির (শেয়ারের) জোগান বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ফিন্যান্স অ্যান্ড ফিনটেকের সহযোগী অধ্যাপক রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী মনে করেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে রি-অ্যাকটিভ না হয়ে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে। তিনি বলেন, বাজারে আস্থা ফিরে আসার এ ধারা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয় তার দিকে বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। বাজারে ক্ষতি-মুনাফা থাকবেই, তবে সেটা যেন কোনোভাবেই বাজার কারসাজির মাধ্যমে না হয়, এটি নিশ্চিত করতে হবে। তা হলে বাজারের এই সাময়িক উত্থানকে আমরা বাজার স্থিতিশীলতার জন্য কাজে লাগাতে পারব। একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার ছাড়া বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনীতির স্বপ্ন অবান্তর। তাই পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী আমাদের করতেই হবে। যত দ্রæত হবে এটি ততই মঙ্গল।

পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না

গত পাঁচ বছর অস্থির এক সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ২০২০ সালের করোনা মহামারি, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবÑ যাতে ব্যাহত হয় বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল, বেড়ে যায় পণ্যের দাম, আর সা¤প্রতিক সময়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অনিশ্চয়তা, এত কিছুর মধ্যেও কিছুটা মন্থর গতিতে হলেও প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে দেশের অর্থনীতি। তবে সেই প্রবৃদ্ধি দেশের পুঁজিবাজারে প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশের বৃহৎ কয়েকটি শিল্পগোষ্ঠী যেমন, মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আবুল খায়ের গ্রুপ এবং সিটি গ্রুপ, প্রত্যেকেই ডজনখানেক কোম্পানি পরিচালনা করে। তাদের বার্ষিক টার্নওভার ৩-৪ বিলিয়ন ডলার। অথচ তাদের কোনো ব্যবসা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, কারণ তারা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের চেয়ে উচ্চ সুদের ব্যাংক ঋণ নিতেই পছন্দ করে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অনুক‚ল নয় এমন বিধিবিধান এবং শেয়ার মূল্য নির্ধারণের বিরূপ ফর্মুলাসহ বিভিন্ন কারণে তারা বাজারে আসতে চান না।

টাস্কফোর্সের সুপারিশ দীর্ঘমেয়াদে ফল দেবে

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে বিএসইসি। গত অক্টোবরে গঠিত এ টাস্কফোর্সের জন্য পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ১৭টি টার্মস অব রেফারেন্স নির্দিষ্ট করা হয়। ৩০ জুনের মধ্যে টাস্কফোর্স পাঁচটি বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘লো-হ্যাঙ্গিং ফ্রুট’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আইপিও, মার্জিন ঋণ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইটি বিধিমালা এবং করপোরেট গভর্ন্যান্সের পরিবর্তন। এর মধ্যে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। 

বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব পরিবর্তনের প্রভাব এখনো দেখা যায়নি। ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সুপারিশগুলো কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরাতে তেমন কোনো সংষ্কার হয়নি। 

বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, বিগত সরকারের পতনের পর কমিশন পুঁজিবাজার সংষ্কারের টাস্কফোর্স এবং বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া অনিয়ম তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি সবগুলো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যে অনুযায়ী এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশনও নিচ্ছে। পাশাপাশি টাস্কফোর্স যেসব প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করেও রুলস ও আইনকানুনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। টাস্কফোর্সের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু আইনের সংশোধনী আনা হবে, যার ভিত্তিতে মতামত নিতে খসড়া প্রকাশ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

যুদ্ধ, নোবেল, অভিবাসন ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি নিয়ে জাতিসংঘে বিষোদগার ট্রাম্পের

যুদ্ধ, নোবেল, অভিবাসন ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি নিয়ে জাতিসংঘে বিষোদগার ট্রাম্পের

পুঁজিবাজার: স্থিতিশীলতায়ও আস্থার সংকট

পুঁজিবাজার: স্থিতিশীলতায়ও আস্থার সংকট

এনসিপি'র উচিত নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর চিকিৎসা করানো: ছাত্রদল নেতা আউয়াল

এনসিপি'র উচিত নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর চিকিৎসা করানো: ছাত্রদল নেতা আউয়াল

পশ্চিমা নেতাদের মুখ রক্ষায় কী ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি?

পশ্চিমা নেতাদের মুখ রক্ষায় কী ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি?

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App