ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৭ এএম

তামিলনাড়ুতে অবস্থিত দেশটির বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে অবস্থিত দেশটির বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে দেশটির বৃহত্তম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কুদানকুলামের একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত ৭ আগস্ট দেশটির কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের (সিইএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুর কুদানকুলামের ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিট-১ গত ৩ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে।
তামিলনাড়ু ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড জেনারেশন কোম্পানির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেলে রাজ্যকে বাজার থেকে বিদ্যুৎ কেনার প্রয়োজন হতে পারে। ভারতের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় ওই কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।
এর আগে, কেরালা স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড লিমিটেড (কেসইবিএল) রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে করা এক আবেদনে বলেছে, ইউনিটটি বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় বিদ্যুতের ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। যে কারণে স্বল্পমেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয়ের খরচ বাড়বে বলে জানিয়েছে কেসইবিএল।
৬৫ দিনের জন্য ওই ইউনিটটি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় বিদ্যুৎ বিনিময় প্ল্যাটফর্মে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর চাহিদা বৃদ্ধির ফলে পিক-আওয়ারে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য হয়েছে কেসইবিএল। যেখানে প্রতি ইউনিটের দাম পড়েছে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৮ রুপি (প্রায় ০.১০৪৮ ডলার)।
কেসইবিএল বলেছে, চলতি মাসে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্ধারিত জ্বালানি সরবরাহ বিভ্রাটের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
জরুরি বিদ্যুৎ ক্রয়ের অনুমোদন দিলেও উচ্চ শুল্কের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেরালার বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তামিলনাড়ুর সরকারি এক কর্মকর্তা বলেছেন, কুদানকুলামের ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিট-২ স্বাভাবিকভাবে চলছে।
ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান প্রায় ৯ গিগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।