ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্যে মামলা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কয়েক লাখ মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সেসব তথ্য তুলে দেয়া হয়েছে অভিবাসন বিষয়ক দফতর তথা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের হাতে। এমনই নানা গুরুতর অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্যালিফর্নিয়াসহ ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য মামলা করেছে। বার্তা সংস্থা এপি এ খবর প্রকাশ করেছে।
গত মাসে ক্যালিফর্নিয়া, ইলিনয় ও ওয়াশিংটনের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছেন মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের উপদেষ্টারা। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ওই স্টেটগুলোতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবায় মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি অভিবাসীদের নামও নথিভুক্ত করা হয়েছে। অথচ সব খরচ বহন করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় করদাতাদের টাকায়।
এর পরেই কয়েক লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের হাতে তুলে দেয়ার নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ক্যালিফর্নিয়াসহ মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর দাবি, এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের এই ‘অনৈতিক’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মার্কিন নেতারা।
এ বিষয়ে ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা বলেন, বহু মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংবেদনশীল এবং ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধভাবে আইসিই’র হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে দীর্ঘ দিনের যুক্তরাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা নিতে চাইছেন না।
এপি জানিয়েছে, যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে নাম, ঠিকানা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অভিবাসী কি না, সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর এবং স্বাস্থ্যবীমা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। মার্কিন বিভিন্ন স্টেটের নেতাদের দাবি, আমেরিকাজুড়ে অভিবাসন সংক্রান্ত যে কড়াক়ড়ি শুরু হয়েছে, এই পদক্ষেপ আসলে তারই অংশ।
যদিও এসব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু নিক্সন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ সমস্ত আইন মেনেই করা হয়েছে। মূলত এটা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের উদ্দেশ্য, যাতে সরকারি সুযোগ সুবিধা শুধু তারাই পান, যারা আইনত সেগুলো পাওয়ার অধিকারী।