কাতারে ইসরায়েলের হামলায় 'খুশি নন' ট্রাম্প

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
কাতারের ওপর ইসরায়েলের হামলায় বিরক্তি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি 'খুশি নন'। হামলার কারণে এখন ভেস্তে যেতে বসেছে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে তার উদ্যোগ। কারণ ইসরায়েল যেখানে হামলা করেছে সেই ভবনেই আলোচনার জন্য বসেছিলেন হামাসের শীর্ষ কূটনৈতিক নেতারা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের কর্মকর্তাদের বৈঠকে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১৫টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়। যেখানে একটি লক্ষ্যবস্তুতে ১০টি গোলাবারুদ নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
দোহার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা আটটি পৃথক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। হামাস জানিয়েছে, তাদের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন দাবি করেছে, তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে গেছেন।
হামাস বলেছে, এই হামলা ‘একটি জঘন্য অপরাধ, একটি স্পষ্ট আগ্রাসন এবং সব আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’। কাতার বলেছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’, পাশাপাশি কাতারের জন্য ‘গুরুতর হুমকি’।
পরিপ্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তিনি ‘এর প্রতিটি দিক নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, হামলা চলাকালীন ইউএস সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তিনি হামলার কথা জানতে পেরেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। তাই মার্কিন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ হামলা হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জাতিসংঘের নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারও এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বেআইনি এবং বিনা প্ররোচনায় আক্রমণের মুখে বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার সরকার এবং জনগণের সঙ্গে দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করে।