আবু সাঈদ হত্যা : অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪১ পিএম

আবু সাঈদ। ছবি : সংগৃহীত
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
মামলার ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন পলাতক এবং ৬ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। অভিযোগ গঠনের সময় এই ছয়জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আরো পড়ুন : রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় বৃহস্পতিবার
এর আগে, ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিল ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চারজন আইনজীবী শুনানি করেন। এদের মধ্যে আইনজীবী সুজাত মিয়া পাঁচ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানিতে অংশ নেন ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।
প্রসিকিউশনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন গাজী এমএইচ তামিম, মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আর চূড়ান্ত শুনানিতে নেতৃত্ব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি মামলার পূর্ণ বিবরণ ও অভিযোগগুলো আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়, যার মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার। ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনাল তাদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন এবং অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেন।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, পলাতক ২৪ আসামির বিরুদ্ধে দুইটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও তারা আত্মসমর্পণ না করায় পলাতক অবস্থায়ই তাদের বিচার চলবে। অপরদিকে গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে দুজন এখনও ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ দেননি।
এর আগে, ৩০ জুন মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে, গত ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।