গাজায় একদিনে ৯৪ ফিলিস্তিনি নিহত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১১ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। সোমবার (৪ আগস্ট) সারাদিনের গোলাবর্ষণে সেখানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯৪ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৩৯ জন। সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ হাজার ৯৩৩ জন। আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ৫০ হাজার ২৭ জন মানুষ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহতদের অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানিতে স্থগিতাদেশ বহাল: কানাডার স্পষ্ট বার্তা
এছাড়াও, ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবারই ত্রাণ সংগ্রহের সময় বিভিন্ন এলাকায় নিহত হন ২৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হন আরো অন্তত ৩০০ জন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে এক আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এর পরদিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
চলমান এই যুদ্ধের মধ্যে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। তবে দুই মাস না যেতেই ১৮ মার্চ থেকে আবারও নতুন করে হামলা শুরু করে তারা।
এই দ্বিতীয় দফার হামলায় গত চার মাসে নিহত হয়েছেন আরো ৯ হাজার ৪৪০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ।
হামাসের জিম্মি করে নেওয়া ২৫১ জনের মধ্যে এখনো ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই এই জিম্মিদের মুক্ত করতে চায়।
এদিকে, গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী অভিযানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার আহ্বান জানালেও থামেনি ইসরায়েলের হামলা। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইতোমধ্যে গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্ত করা না পর্যন্ত গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।