তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত: লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৮
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
বিয়ার সেনা প্রধান মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদ। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনা প্রধান মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদ এবং তার সঙ্গে থাকা চারজন লিবীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিমানের তিনজন ক্রু সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা এই দুর্ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। আঙ্কারা সফর শেষে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে ফেরার পথে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা তার বিবৃতিতে বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জাতির জন্য, সামরিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা এমন ব্যক্তিদের হারালাম যারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে নিজেদের দেশকে সেবা করেছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্যান্য লিবীয় কর্মকর্তারা হলেন— গ্রাউন্ড ফোর্সেস চিফ অব স্টাফ আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাউই, সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাউই দিয়াব এবং সামরিক আলোকচিত্রী মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে এক তুর্কি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় প্রাইভেট জেটটির তিনজন ক্রু সদস্যও নিহত হন। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এতে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে পাইলটরা জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে পারেনি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেটের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, লিবিয়ার সেনাপ্রধান মোহাম্মেদ আল-হাদ্দাদ, তার চার সহযোগী ও তিনজন ক্রু সদস্য নিয়ে প্রাইভেট জেটটি উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছু সময় পর বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দিলে তারা বিমান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে অবহিত করে জরুরি অবতরণের অনুমতি চায়।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া বলেন, আঙ্কারা থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রার পর বিমানটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কেসিককাভাক গ্রামসংলগ্ন হায়মানা অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।
তুরস্কের এক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী হামলা বা নাশকতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, তুর্কি সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আঙ্কারায় সফরে এসেছিলেন আল-হাদ্দাদ ও তার সঙ্গীরা। তারা যে প্রাইভেট জেটে করে সফর করছিলেন, সেটি লিবিয়া সরকারের ভাড়া করা বিমান ছিল।
