বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত তথ্যযুদ্ধে নেমেছে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের তথ্যযুদ্ধ বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কূটনীতিকরা ভারতের গণমাধ্যমের অপপ্রচারকে তথ্যযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করছেন, যেখানে বাংলাদেশের বিষয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ভারত এই প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, বিশেষত যখন এটি বাংলাদেশের আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ওঠে আসার সম্ভাবনা তৈরি করছে।
ফ্যাক্ট চেকাররা জানান, ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচার অনেক সময়ই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে করা হচ্ছে। বিশেষত, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঘিরে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যা দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতাকে বিপদে ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্য, যা বাংলাদেশে ধর্মীয় যুদ্ধের চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করছিল, সে বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া, ভারতীয় গণমাধ্যমে যে মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে তা দেশের ভেতরে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য। একদা ভারতের শীর্ষ নেতাদের দেয়া মিথ্যা তথ্য, যেমন: বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের গ্রেপ্তার, দেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে যুদ্ধ আর অস্ত্রের মাধ্যমে নয়, বরং তথ্যের মাধ্যমে হচ্ছে। ভারত এই তথ্যযুদ্ধে বাংলাদেশকে নিশানা করেছে, যা দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্য।
ডিসমিসল্যাবের লিড রিসার্চার মিনহাজ আমান জানান, ভারতীয় গণমাধ্যমের এসব গুজব ছড়ানোর পিছনে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে। সংবাদ বন্ধ হলে, সংবাদটি অন্য কোথাও প্রকাশিত হবে; তাই এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ মনে করেন, ভারত দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে নিজেদের প্রভাবাধীন রাখতে সক্ষম হয়েছিল। এখন তাদের লক্ষ্য হল বাংলাদেশকে অষ্টম সিস্টার হিসেবে তাদের অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে তাদের সেভেন সিস্টার্স নিরাপদ থাকে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না। আমাদের সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আরো বেশি অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি আরো জানান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের গণমাধ্যমকে বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি সরাসরি দেখার আহ্বান জানিয়েছেন, তবে তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে যাওয়ার পথেই হাঁটছে।
