বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, যা বললো জামায়াত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আনোয়ার হোসেন নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ৬ ডিসেম্বর ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবককে অন্যায়ভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এ অন্যায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও অন্যায় হত্যাকাণ্ড ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা বারবার ঘটলেও একটি হত্যাকাণ্ডেরও তদন্ত ও বিচারকাজ সম্পন্ন হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের অন্যায় হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধুসুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সব বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জাতিসংঘের অধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মোমিনপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের দেবনগড়-আমজুয়ানি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্তের ৭৫১ নম্বর মেইন পিলারের ৮ থেকে ৯ নম্বর সাবপিলারের মাঝামাঝি এলাকায় তাঁর লাশ পড়ে ছিল।