জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করেই ছাড়ব : নাহিদ ইসলাম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

‘এই বিষয়ে কোনো টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না।’ ছবি : সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে ঘোষিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আদায় করেই ছাড়ব। এই বিষয়ে কোনো টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অবশ্যই বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দিকে যেতে হবে। যারা মনে করছেন মানুষ ঘরে ফিরে গেছে, তারা বড় ভুল করছেন। আমরা বাংলার প্রতিটি প্রান্তে যাব, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজপথে নামব। ইনশাআল্লাহ, আমরা জুলাই সনদ আদায় করেই ছাড়ব।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আবু সাঈদ পুলিশের গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওর রক্ত আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তেই এই কর্মসূচিতে নেমেছি। জুলাই কেবল স্মৃতির মাস নয়, এটি গণজাগরণ ও ঐক্যের মাস। জাতিকে নতুনভাবে গড়ার শপথের মাস।
আরো পড়ুন : জুলাইকে গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা
কবর জিয়ারত শেষে এনসিপি নেতৃবৃন্দ শহীদ আবু সাঈদের পরিবার, তার মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা মকবুল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং খোঁজখবর নেন। আবেগঘন মুহূর্তে আবু সাঈদের মা নাহিদ ইসলামের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। উপস্থিত সবাই তখন অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, হাজারো মানুষের জীবন ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ গঠন।
তিনি আরো বলেন, জুলাই পদযাত্রা মানে শুধু কর্মসূচি নয়, এটি একটি সামাজিক চুক্তি—দেশ পুনর্গঠনের জন্য সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সংলাপের সুযোগ।
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে গাইবান্ধায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা তিনটায় এনসিপি রংপুর শহরের পার্কের মোড়, লালবাগ, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানির মোড় হয়ে টাউন হলে একটি বড় পদযাত্রা ও পথসভা করে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, আব্দুল হান্নান মাসউদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা।