দল আমার ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত দেবে, মাথা পেতে মেনে নেব: ফজলুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফজলুর রহমান। ছবি: ফোকাস বাংলা
শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরে দলীয় সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। এর আগে রোববার (২৪ আগস্ট) জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে নিয়ে 'কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর' বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ তুলে তাকে দলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
সোমবার (২৫ আগস্ট) হাইকোর্টে এক ব্রিফিং ফজলুর রহমান বলেন, আমি নির্দিষ্ট সময়ে উত্তর আমার দলকে দেব এবং দল আমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত যা দেবে সেটা আমি মাথা পেতে মেনে নেব।
ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সেগুনবাগিচার কনকর্ড নামে একটি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে কিছু মানুষ। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, আমি শুনলাম স্লোগান হচ্ছে কয়েকটা। দেখলাম ওপর থেকে সাত থেকে আটজন ছেলেমেয়ে স্লোগান দিচ্ছে, খুব বিশ্রি স্লোগান। ফজলুকে হত্যা করে, ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইত্যাদি, ইত্যাদি। স্লোগানের ভাষা মানে এমন কোনো...। সাত-আটজন ছেলেমেয়ে এবং তারা বাসার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করতেছে। আমি সেই বাসায় থাকি, ভাড়া বাসা। আমি এখন শঙ্কায় আছি যেই বাসায় ভাড়া থাকি সেই মালিক এখন আমাকে আর ভাড়া থাকতে দেবেন কিনা?
একইসঙ্গে বেঁচে থাকার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার তার রয়েছে উল্লেখ করে এ অধিকারের ওপর বাধা পড়ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, আমাকে হত্যা করতে চায় এবং বিদেশ থেকে কিছু ইউটিউবার বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে কয়েকদিন আগে দুই জন ইউটিউবার অর্ডার দিয়েছে আমাকে হত্যা করার জন্য। গত রাত্রে বা পরশু রাত্রে দেখলাম এরা সবাই জামায়াতের লোক।
আইনজীবী বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করতে চাই, হে বাংলাদেশের মানুষ, আজ থেকে ৫৪ বছর আগে আপনাদের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। আজকে যে সন্তানেরা আমার বিরুদ্ধে স্লোগান দাও তোমাদের জন্য একটা স্বাধীন দেশ সৃষ্টি করার জন্য আমি যুদ্ধ করেছিলাম। তোমাদের কাছ থেকে কি আমার অপমৃত্যুটা আমার কাম্য?
জুলাইয়ের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, যদি আমার কোনো কথায় আপনারা মনে করে আপনাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন, গ্রেফতার করুন ও শাস্তি দেন। কিন্তু মব সৃষ্টি কেন? গত ১ বছর ধরে এ হীন প্রচেষ্টা চলছে।