প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৭ রাজনৈতিক দলের বৈঠক, পিআরসহ যেসব বিষয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম

মঙ্গলবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। ছবি: সংগৃহীত
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের জানান, গণপরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাংবিধানিক মৌলিক পরিবর্তন এবং জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।
সব রাজনৈতিক দলকে ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আর সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে গণভোটের দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা। তবে পিআর সফল কোনো পদ্ধতি না এবং বাংলাদেশের কাছে পরিচিত নয় এমন কথা জানিয়েছেন এলডিপির নেতারা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় গণফ্রন্ট, এলডিপিসহ মোট সাতটি দলের প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের জোনায়েদ সাকি বলেন, গণভোটই করেন আর যাই করেন, সব কিছুই শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টে র্যাটিফাই করতে হবে। সুতরাং একটা পার্লামেন্ট ছাড়া কোনোভাবেই সংবিধানের এই মৌলিক সংস্কারকে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত বা সম্পন্ন করতে পারবো না। অতএব আমাদের দলের দিক থেকে আমরা মনে করি একটা সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচনই বাংলাদেশের এই সাংবিধানিক মৌলিক পরিবর্তন, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ বা যেকোনো দল যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন সাকি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগসহ কোনও দলের দায় কতটুকু সেটাও বিচারিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত রোববার বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামীর সাথে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই দিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। কেউ যদি নির্বাচনের কোনো বিকল্পভাবে সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপদজনক। তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছিলেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।