প্রবাসীদের ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া প্রকাশ করলো ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পোস্টাল ব্যালট (আইটি সাপোর্টেড) ভোটিংয়ের জন্য নিবন্ধন ও ভোটদানের প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসির ওয়েবসাইটে এ প্রক্রিয়ার নমুনা প্রকাশ করা হয়। এতে দুটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে ‘পোস্টাল ভোটিংয়ের (আইটি সাপোর্টেড) তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়া’ এবং ‘পোস্টাল ভোটিংয়ের (আইটি সাপোর্টেড) ভোটদান প্রক্রিয়া’। ইসি জানিয়েছে, অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীরা সহজ ধাপে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনের জন্য মোট ১১টি ধাপ রয়েছে। প্রথমে Postal Vote BD ইউ অ্যাপ চালু করতে হবে। পরে দেশ নির্বাচন (বাংলাদেশ ছাড়া) করতে হবে। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে এবং মোবাইলে পাঠানো ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ইনপুট দিয়ে নম্বর যাচাই করতে হবে। এরপর ভোটারের ছবি তুলতে হবে এবং লাইভ ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে সেলফি তুলতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য এনআইডির ছবি তুলতে হবে, যা যাচাই করা হবে এবং পাসপোর্টের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই হয়ে যাবে। এরপর ভোটারকে বিদেশে অবস্থানরত ঠিকানা দিতে হবে, যেখানে পোস্টাল ব্যালট যাবে। অ্যাকাউন্ট যাচাই হওয়ার পর নিবন্ধন সম্পন্ন হবে এবং ভোটার পোস্টাল ব্যালট প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করবেন।
ভোটদানের জন্য ৯টি ধাপ নির্ধারিত হয়েছে। ব্যালট পেপার পৌঁছলে অ্যাপে দেয়া ঠিকানা নিশ্চিত করতে হবে। ভোট দিতে ইসির নির্দেশনা গ্রহণ করতে হবে এবং মোবাইল নম্বর যাচাই করতে হবে। পরে নিজের ছবি তুলতে হবে, খামের উপর কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে এবং ব্যালট পেপারে ক্রম বা টিক চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে হবে। ব্যালট পেপারের নমুনা সংরক্ষণ করতে হবে। খামের ভেতরে থাকা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে এবং ভোট দিয়ে রিটার্ন খামে ব্যালট পেপার রেখে তা বন্ধ করে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রবাসী ভোটারদের জন্য আউট অব কান্ট্রি ভোটিংয়ের বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি হয়েছে Postal Vote BD অ্যাপ, যা গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে এনআইডি ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে। অ্যাপটির উদ্বোধন এখনও হয়নি। তবে কমিশন এর নাম ও কাঠামো অনুমোদন করেছে।
নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ভোটারের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংসদীয় আসন শনাক্ত করবে। এরপর ভোটার প্রবাসে যে ঠিকানায় ব্যালট পেতে চান সেটি দিতে পারবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহজ ও নিরাপদভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানান।