তামিমা এখনো আইনগতভাবে আমার স্ত্রী: রাকিব
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:৪৮ পিএম
তামিমার সঙ্গে রাকিব ও নাসিরের পৃথক ছবি
তামিমা এখনো আইনগতভাবে আমার স্ত্রী। আমি যে অভিযোগ করেছিলাম তার সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদালত প্রাঙ্গণে এসব কথা বলেন ক্রিকেটার নাসিরের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর প্রাক্তন স্বামী রাকিব হাসান।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে প্রমাণ হয়েছে নাসির-তামিমা যে বিয়ে করেছেন সেটি অবৈধ। তামিমা ফিরে আসলে তিনি তাকে গ্রহণ করবেন কি না প্রশ্ন করা হলে রাকিব বলেন, সে যদি আসতে চায় অবশ্যই তাকে গ্রহণ করব।
এর আগে দুপুরে রাকিব হাসানের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় ডিভোর্স পেপার ছাড়াই বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামীমার মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পাঁচবার দিন পরিবর্তন করার পর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য ছিল। জাল জালিয়াতি করে অবৈধভাবে তালাকের নোটিশ তৈরি করে নাসির-তামিমার বিয়ে হয়েছে এবং তাদের বিয়ে অবৈধ বলে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন রাকিবের আইনজীবী। পরে বিচারক শুনানি শেষ আসামিদের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
এর আগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বলা হয়, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। লিগ্যালভাবে রাকিব তালাকের কোনও নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জাল জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবে স্ত্রী বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের দিন ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে হয়। এর দশদিন পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বাদীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
মামলার ওইদিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর শুনানি শেষে বিকেলে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে ৩১ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় পরে দ্বিতীয় দফায় ২ মে, তৃতীয় দফায় ২৩ জুন, চতুর্থ দফায় ৩১ আগস্ট এবং পঞ্চম দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
