খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানি থেকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসছে। কাতার সরকারের উদ্যোগে পাঠানো এই বিশেষ বিমানটি শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ নিশ্চিত করে বলেন, কাতার সরকারের উদ্যোগে জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। বিকেলে পৌঁছানোর পর শনিবার সন্ধ্যা বা রাতেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এ বিমানটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, জার্মান প্রাইভেট এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানি ‘এফএআই রেন্ট এ জেট জিএমবিএইচ’-এর সিএল৬০ (বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০০ সিরিজ) জেট খালেদা জিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। বিমানটি ঢাকা থেকে জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি হয়ে সরাসরি লন্ডন যাবে। শনিবার বিকেলে বা রাতে অ্যাম্বুলেন্সটির খালেদা জিয়াকে নিয়ে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, কাতার রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি থাকায় কাতারের আমির তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছেন, যা শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।
তিনি অবশ্য দাবি করেন, এখন যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসছে সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে না।
খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে লন্ডনে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারিগরি সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময় গতকাল মধ্যরাতে (বৃহস্পতিবার) কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসেনি।
আজ সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে। তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। গত রোববার ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়।
