সামার ওরিয়েন্টেশন ২০২৫
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৮ এএম

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সামার কোয়ার্টার ওরিয়েন্টেশনে কথা বলছেন চ্যান্সেলর আবু বকর হানিপ
“স্বপ্ন যারা দেখে, তারা থেমে যায় না; আলোর পথে হাঁটে, তারাই ইতিহাস গড়ে।” এমনই এক প্রেরণাদায়ক বার্তা নিয়ে গত ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সামার কোয়ার্টার ওরিয়েন্টেশন ২০২৫।
বিশ্বের ১২০টি দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ যেন পরিণত হয়েছিল এক বৈচিত্র্যময় উৎসবে। সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ বিভিন্ন দেশের শত শত শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।
প্রধান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হাসান কারা বার্ক। নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা স্বপ্ন দেখো, আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের হাত ধরেই তোমাদের পাশে থাকব।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবু বকর হানিপ বলেন, “শুধু একাডেমিক নয়, একজন শিক্ষার্থীর সফল জীবন গঠনে জীবনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোরও সঠিক সমন্বয় প্রয়োজন। আমাদের দায়িত্ব সেই সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা, যা তাদের স্বপ্ন থেকে শুরু করে কর্মজীবন পর্যন্ত সাফল্যের পথে এগিয়ে নেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক পথের বাইরেও তোমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে সঙ্গী হয়ে থাকবে।”
সিএফও ফারহানা হানিপ বলেন, “শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা, ভালোবাসা দেওয়া এবং তাদের খোঁজখবর রাখা—এই মানবিক সম্পর্কই আমার কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই পরিবারের অংশ হিসেবে আমি সবসময় তোমাদের পাশে আছি।”
এরপর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি ও ফ্যাকাল্টি সদস্যরা নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত সেশনে F1 স্ট্যাটাস, ভিসা রেগুলেশন, একাডেমিক নিয়মকানুন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে ক্যাম্পাস ট্যুরে অংশ নেন। একাডেমিক ভবন, গ্রন্থাগার, ল্যাবরেটরি ও স্টুডেন্ট সেন্টারসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘুরে দেখানো হয়। ট্যুর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে নতুন বন্ধুত্বের উষ্ণতা মিশে যায় খাবারের স্বাদে।
দুপুরের পর শুরু হয় বিভাগভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন সেশন। যেখানে বিভাগগুলো তাদের শিক্ষাপদ্ধতি, গবেষণার সুযোগ ও ভবিষ্যৎ কর্মপথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।
দিনব্যাপী এই আয়োজন কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এই ওরিয়েন্টেশন তাদের আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে দিয়েছে এবং নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছে।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সামার ওরিয়েন্টেশন ২০২৫ শেষ হয় নতুন স্বপ্ন, বন্ধুত্ব এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে—যেখানে শুরু হয় জীবনের এক নতুন যাত্রা।