গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে বিলীন ফসলি জমি, আতঙ্কে অর্ধশত পরিবার

মজিদ কাজল, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

অর্ধশতাধিক পরিবার ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে। ছবি : ভোরের কাগজ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করতেই দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। গত এক সপ্তাহে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকায় প্রায় ১০ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে অন্তত অর্ধশত পরিবার।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিনবিনা এলাকায় তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা, ইউনুস, আইয়ুব, মুকুল চন্দ্র, অতুল চন্দ্র, রঘুনাথ চন্দ্র, আমজাদ হোসেন, শাহিনুর, জুয়েল, আলম ও মকবুল হোসেনসহ অনেকে জানান, নদী ভাঙনের কারণে জমি হারিয়ে তারা চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
আরো পড়ুন : বরখাস্ত এসআইকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ
মোস্তফা বলেন, গত এক সপ্তাহে প্রায় ১০ একর আমন ক্ষেত তিস্তার গর্ভে চলে গেছে। আইয়ুব আলীর দাবি, অর্ধশতাধিক পরিবার ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে।
অতুল চন্দ্র আক্ষেপ করে বলেন, আমরা বছরে একবারই আমন ধান আবাদ করি। এবার সেই ফসলটুকুও ভেঙে গেছে। এখন একবছর কীভাবে বাঁচব তার কোনো উপায় নেই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দ্রুত সরকারি উদ্যোগ ও ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে তারা নিঃস্ব হয়ে পড়বেন।
কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (প্যানেল) চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বলেন, বিনবিনা থেকে চর শংকরদহ পর্যন্ত একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি আমরা বহুদিন ধরে জানিয়ে আসছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, ভাঙনপ্রবণ এলাকার খবর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। বন্যা ও ভাঙন থেকে মানুষকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।