আজ মহাষষ্ঠী, দেবী দুর্গার বোধন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ এএম

আজ মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ছবি : সংগৃহীত
আজ মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রোববার সকাল থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে চলছে দেবী দুর্গাকে বরণের প্রস্তুতি।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ সকাল ১১টা ১১ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হবে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ধূপধুনচি, পঞ্চপ্রদীপ আর ঢাকের বাদ্যের তালে দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হবে। শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি আর ঢাকের বাদ্যে মুখরিত হয়ে উঠবে পরিবেশ।
এ বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাঁচ দিনব্যাপী এ মহোৎসবকে ঘিরে মন্দির, মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আনসার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : প্রতিমা তৈরিতে দ্বিগুণ খরচ, বাড়েনি পারিশ্রমিক
দেবীর আগমনী সুরে ভক্তদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পরিবেশ। মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনী ধ্বনি শোনার পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বইছে।
আগামী বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই বছরের দুর্গাপূজা।
দুর্গাপূজার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
দুর্গাপূজার ইতিহাস হাজার বছরের। পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুর নামে এক অসুরের অত্যাচারে দেবতা ও মানুষরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। তখন দেবতারা সম্মিলিত শক্তি দিয়ে সৃষ্ট করেছিলেন দেবী দুর্গাকে। দশভুজা রূপে মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি তাকে পরাজিত করেন। তাই দুর্গা মর্ত্যে আগমনের অর্থ হলো অসুর দমন ও শুভ শক্তির জয়।
বাংলায় শারদীয় দুর্গাপূজা মূলত রাজা কংসনারায়ণ (১৬ শতক) রাজশাহীর তাহিরপুরে প্রথম শুরু করেছিলেন বলে জানা যায়। তবে এরও আগে গৃহে গৃহে বা ক্ষুদ্র আকারে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবেও রূপ নেয়।
বাংলাদেশে দুর্গাপূজা বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে পালিত হয়। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর আরাধনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। এ উৎসব এখন কেবল ধর্মীয় নয়, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরও প্রতীক।