পুতিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কিয়েভে বৈঠকের আমন্ত্রণ জেলেনস্কির

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ এএম

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ চলমান অবস্থায় তিনি কখনো মস্কো যাবেন না।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, তিনি চাইলে কিয়েভে আসতে পারেন। আমার দেশ যখন প্রতিদিন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিপর্যস্ত, তখন আমি কোনোভাবেই সন্ত্রাসীর রাজধানীতে যেতে পারি না।
তবে মস্কোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করলেও পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তার বক্তব্য, যেকোনো ফরম্যাটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি রাজি।
এদিকে ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বসেছিলেন পুতিন ও জেলেনস্কি। তবু কোনো সমাধান আসেনি। বৈঠকের পর ট্রাম্প মধ্যস্থতার আশ্বাস দিলেও যুদ্ধের অচলাবস্থা কাটেনি।
আরো পড়ুন : রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ওয়াশিংটনে ইইউ–মার্কিন বৈঠক
গত ৩ সেপ্টেম্বর চীনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার পর পুতিন বলেছিলেন, জেলেনস্কি চাইলে যেকোনো সময় মস্কোতে আসতে পারেন। তবে নিজের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছা নেই বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমি কখনো বৈঠক নাকচ করিনি। কিন্তু সেটি সফল করতে প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি।
অন্যদিকে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। পুতিনকে রাজি করাতে না পারাই ছিল তার প্রেসিডেন্টকালীন সময়ের সবচেয়ে কঠিন সংঘাত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, সম্প্রতি পোকরোভস্ক এলাকায় রাশিয়া নতুন কৌশল নিয়েছে। বড় আকারের হামলার পরিবর্তে ছোট ছোট দলে শহরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তারা। এর লক্ষ্য হলো ড্রোন ও মর্টার অবস্থান দুর্বল করা এবং নতুন করে ‘গ্রে জোন’ সম্প্রসারণ করা।
ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, বর্তমানে ইউক্রেনে প্রায় সাত লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে, যার বড় অংশ দোনেৎস্ক অঞ্চলে। এ শক্তিবৃদ্ধিতে উত্তর কোরিয়ার সেনা, গোলাবারুদ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও যুক্ত হচ্ছে। কিয়েভের দাবি অনুযায়ী, রুশ বাহিনীর ৪০-৬০ শতাংশ গোলাবারুদ এখন উত্তর কোরিয়া থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।