বকেয়া ১৩৩ কোটি টাকা কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ পেল বাংলালিংক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনসের লোগো
মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনসকে তরঙ্গ ফি বাবদ বকেয়া ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা ৯টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কমিশনের ২৯৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ শতাংশ বিলম্ব ফি পরিশোধ করতে হবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বরাদ্দকৃত ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের তরঙ্গের ৫ম কিস্তির টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে না পারায় বাংলালিংক এই সুবিধা চেয়ে আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কমিশন এই অনুমোদন দেয়। বাংলালিংককে আগামী ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
সভার কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে বাংলালিংককে মোট ৮৮৯ কোটি ৫৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৭ টাকায় তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই অর্থের ২৫ শতাংশ প্রথম কিস্তিতে এবং বাকি ৭৫ শতাংশ অর্থ পাঁচটি সমান বার্ষিক কিস্তিতে পরিশোধের কথা ছিল, যা ২০২৬ সালের ৮ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। বাংলালিংক ইতোমধ্যে চারটি কিস্তি পরিশোধ করেছে।
তবে, পঞ্চম কিস্তির ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ১ টাকা পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ ছিল গত ৮ এপ্রিল ২০২৫। বাংলালিংক নির্ধারিত সময়ে সেই টাকা পরিশোধ না করে ৯টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের জন্য আবেদন করে। আবেদনের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম কিস্তির ১৪ কোটি ৮২ লাখ ৬১ হাজার ২২২ টাকা জমাও দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত আলোচনা শেষে কমিশন বাংলালিংকের আবেদন অনুমোদন করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অপারেটরটিকে ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে পরবর্তী ৯ মাসের মধ্যে, অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে ১৫ শতাংশ বিলম্ব ফিসহ সম্পূর্ণ বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এটিই প্রথমবার নয় যে বাংলালিংককে কিস্তি সুবিধা দেওয়া হলো। এর আগেও ২০২২ সালে বরাদ্দকৃত ২৩০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের তরঙ্গ ফির তৃতীয় কিস্তির ১৫৭ কোটি ৮ লাখ টাকা ১০টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, যা কমিশনের ২৯০তম সভায় অনুমোদিত হয়। সেবারও ১৫ শতাংশ বিলম্ব ফি প্রযোজ্য ছিল।
টেলিযোগাযোগ খাতে তরঙ্গের বকেয়া সময়মতো পরিশোধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিটিআরসি অপারেটরদের এই সংক্রান্ত আবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।