অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ও দায় এড়ানো যায় না

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৬ পিএম

অনলাইন জুয়ার প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অনলাইন জুয়া রোধে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো (বিটিআরসি ও ডট) কেবল আইন প্রণয়ন ও অভিযান পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে; বাস্তবিক ও কাঠামোগত পদক্ষেপের অভাবে এই সমস্যা দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
তিনি বলেন, “বিগত ও বর্তমান উভয় সরকারই অনলাইন জুয়া রোধে আইন তৈরি করেছে, কিন্তু কখনো নিজেদের দায়িত্ব ও ব্যর্থতা নিয়ে জবাবদিহি করেনি। কেবল ব্যবহারকারীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, অথচ যারা এসব জুয়া কনটেন্ট ও ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।”
মোহিউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, অনলাইন জুয়া থেকে শুরু করে বেটিং অ্যাপ পর্যন্ত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, যার মধ্যে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও রয়েছেন।
তিনি বলেন, “জুয়া কনটেন্ট বা ব্যান্ডউইথ আমদানি করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সাবমেরিন ক্যাবল ও বেসরকারি আইটিসি। সরবরাহ করছে আইআইজি ও এনটিটিএন কোম্পানিগুলো, আর ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে আইএসপি ও মোবাইল অপারেটররা। আপনি যদি সাবমেরিন ক্যাবল ও আইআইজি স্তরে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে আইএসপি বা মোবাইল অপারেটরকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও ডট জনসচেতনতা তৈরিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করলেও আজ পর্যন্ত অনলাইন জুয়া বা অনৈতিক কনটেন্ট প্রতিরোধে কোনো সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়নি।”
একইসঙ্গে তিনি সরকারের দায়িত্বহীনতার সমালোচনা করে বলেন, “শুধু আইন করে বা কিছু ওয়েবসাইট বন্ধ করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড রোধ করা যায় না। ক্রিকইনফো থেকে জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হলেও পর্নোগ্রাফি সাইটে প্রতিনিয়ত জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে এটা নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।”
শেষে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, কেউ কেউ মূল কাজের পরিবর্তে কৃতিত্ব নিতেই বেশি আগ্রহী। এখনই সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে অন্যথায় অনলাইন জুয়া ও অনৈতিক কার্যক্রম সমাজকে গভীর সংকটে ফেলবে।”