তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:১৩ এএম

তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। ছবি: সংগৃহীত
আফগানিস্তানে নারী ও শিশুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানে তালেবানের ওই দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আদালত আইসিসি বলেছে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং আব্দুল হাকিম হাক্কানি নারী ও মেয়ে শিশুদের সঙ্গে তাদের নিপীড়নমূলক আচরণের মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন- এমনটি বিশ্বাস করার ‘যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি’ আছে।
ওই সময়ে তারা মেয়েদের শিক্ষা বঞ্চিত করাসহ নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে। নারীদের চাকরি করাও নিষিদ্ধ করে। এমনকি আফগানিস্তানে নারীদের কোনও পুরুষ ছাড়া বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে এবং নারীদের উচ্চস্বরে কথা বলাও মানা।
তবে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তানের তালেবান বলেছে, তারা আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয় না।
আদালতের পরোয়ানাকে ‘স্পষ্টতই বৈরি কর্মকাণ্ড এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিম ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য অপমান’ আখ্যা দিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, তালেবান গোটা জনসংখ্যার ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করলেও, তারা নারীদেরকে কেবল লিঙ্গের কারণে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করছে।
জাতিসংঘ আগেই এসব বিধিনিষেধকে ‘জেন্ডার অ্যাপার্থেইড’ বা লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবাদের সামিল আখ্যা দিয়েছে।
আরো পড়ুন : যুদ্ধবিরতির জন্য আরো সময় প্রয়োজন : কাতার
তবে তালেবান প্রশাসন বলছে, তারা আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামি শরিয়াহ আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী নারীদের অধিকার রক্ষা করছে।
হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ২০১৬ সালে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হন এবং ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগের পর তিনি তথাকথিত ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এর নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
১৯৮০-এর দশকে তিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন।
ওদিকে, আব্দুল হাকিম হাক্কানি ছিলেন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় তালেবানের পক্ষ থেকে তিনি প্রধান আলোচকের ভূমিকায় ছিলেন।