তাইওয়ানে সুপার টাইফুনের আঘাতে নিহত ১৪

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৯ এএম

সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে তাইওয়ানে এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ চীন সাগরে সৃষ্টি হওয়া সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে তাইওয়ানে এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা হুয়ালিয়েনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লি কুয়ান-তিং এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার হুয়ালিয়েনের উপকূলে আছড়ে পড়ে রাগাসা। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি এই অঞ্চলেই।
লি কুয়ান-তিং বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী বাহিনীর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ঝড়ে হুয়ালিয়েনে ১৪ জন নিহত, ১৮ জন আহত এবং অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, রাগাসার প্রভাবে তাইওয়ানসহ দক্ষিণ চীন সাগরের তীরবর্তী স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ হংকংয়েও ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হয়েছে। সোমবার থেকেই হংকংয়ে ১০ নম্বর সতর্কতা জারি ছিল।
আরো পড়ুন : এবার জেন-জিদের বিক্ষোভে উত্তাল ম্যানিলা
ফিলিপাইন, চীন ও তাইওয়ানের বিজ্ঞানীরা জানান, দক্ষিণ চীন সাগরের নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট রাগাসা ব্যাপক শক্তি ও বিধ্বংসী ক্ষমতার জন্য সুপার টাইফুনে পরিণত হয়। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ছিল ২৩০ কিলোমিটার।
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশের বাতানিজ দ্বীপে প্রথম আঘাত হানে রাগাসা। দ্বীপটি থেকে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের দূরত্ব প্রায় ৭১০ কিলোমিটার।
রাগাসার প্রভাবে ফিলিপাইন, তাইওয়ান, হংকং ও চীনের গুয়াংডং প্রদেশে রোববার থেকেই ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। হংকংয়ে সাগরের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় এক মা ও তার পাঁচ বছরের শিশু। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার হংকং উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১৩ ফুট পর্যন্ত উঠেছিল।
তবে ফিলিপাইন থেকে এখনো কোনো নিহত বা নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড়কে যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন বলা হয়। যখন কোনো হারিকেন গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির মতো শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তখন সেটিকে ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন বলা হয়। ফিলিপাইন ও চীনের আবহাওয়াবিদরা রাগাসাকে ক্যাটাগরি ৫ হারিকেনের সমতুল্য উল্লেখ করেছেন।