বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তায় কমাতে পারে গ্রাহকের সঙ্কা

মরিয়ম সেঁজুতি
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৬ পিএম

সৈয়দ মিজানুর রহমান। ছবি : ভোরের কাগজ
দেশের তালিকাভুক্ত প্রথম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবি ব্যাংক পিএলসি। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অনেক ‘প্রথমের’ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এমনকি গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবি ব্যাংক। গত ৫ মে থেকে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ মিজানুর রহমান। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি ছিলেন। রাজনৈতিক পালাবদলে এবি ব্যাংক সাময়িক সংকটে পড়লেও কিভাবে গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছেন। সে বিষয়ে কথা বলেছেন সৈয়দ মিজানুর রহমান।
তার মতে, বিদেশি কোম্পানি দিয়ে ব্যাংকের অডিট নিয়ে গ্রাহকের মদ্যে ভুল ম্যাসেজ যাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ম্যাসেজ আসলে ব্যাংক খাতের অস্থিরতা অনেকটাই কমে যাবে।
একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ আদায়, গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধার, নতুন সেবা চালু, আইএমএফের শর্ত পূরণে বিশেষ নিরীক্ষাসহ সার্বিক ব্যাংক খাতের বিষয়ও উঠে এসেছে ভোরের কাগজের সঙ্গে তার আলাপচারিতায়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মরিয়ম সেঁজুতি।
ভোরের কাগজ : একটি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাময়িকভাবে বেশ কিছু ব্যাংক সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনেক ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। আবার আমানতও সংগ্রহ করতে পারছে না। এবি ব্যাংকও কিছুটা সংকটের মধ্যে ছিল। সেই সংকট থেকে কতটুকু ইতিবাচক পরিবর্তন হলো। এবি ব্যাংক কিভাবে গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে।
সৈয়দ মিজানুর রহমান: সামষ্টিকভাবে ব্যাংকিং খাত একটি চরম সংকটের মধ্যে পড়েছিল। রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণে হোক প্রকৃত খেলাপি ঋণ এতোদিন পর্যন্ত ধামাচাপা দেয়া ছিল। কিন্তু পট পরিবর্তনের পরে আসল চিত্রটি সবার সামনে চলে আসে। বর্তমানে মন্দ ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। বিতরণকৃত পুরো ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশই খেলাপি। এটা অর্থনীতির জন্য এলার্মিং। আমাদের ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণও অনেক বেশি। প্রথমে ভেবেছিলাম, গ্রাহকের আস্থা হারাতে পারি, সেক্ষেত্রে আমানত সংগ্রহ কমে যাবে। কিন্তু এবি ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা অনেক বেশি ছিল। তাই আমাদের সে পরিস্থিতি হয়নি।
আমি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি, আর এ বছরের মে মাসে পূর্ণাঙ্গ এমডি হই। দায়িত্ব নেয়ার পর আমার প্রথম উদ্দেশ্যই ছিল যত মন্দ ঋণ আছে সব সামনে নিয়ে আসবো যাতে করে আমি চিহ্নিত করতে পারি আমার সমস্যাগুলো কোথায়, এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারি। আল্লাহর অশেষ রহমত, গ্রাহক আস্থা হারাননি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এবি ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে কোনো গ্রাহক কখনো ফেরত যাননি। গ্রাহকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাদের আমানতের নিরাপত্তা। এবি ব্যাংক সেটা সব সময় নিশ্চিত করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
এখন পর্যন্ত আমাদের সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: নতুন আমানত সংগ্রহ প্রায় আট ৮ হাজার ৪শ কোটি টাকা। নতুন হিসাব খোলা হয়েছে ২৬ হাজারের বেশি। এছাড়া সাত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধার হয়েছে ১৬শ কোটি টাকার বেশি। সিএসআর প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরায় ২৬ হাজার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য ব্যাংকের সুনাম ধরে রাখা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাংকিংসেবা দেয়া।
ভোরের কাগজ : তিনটি ব্যাংকের সম্পদ যাচাই (একিউআর) নিয়ে কী বলবেন? সম্পদের নীরিক্ষা করা মানেই কী ব্যাংক একীভূত করা?
সৈয়দ মিজানুর রহমান: বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ডেলয়েট তিনটি ব্যাংকের অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ (একিউআর) করছে। এই নিরীক্ষা শুধু এবি ব্যাংকের জন্য নয়। এর আগে চারটি ব্যাংকের কাজ শেষ হয়েছে, এখন তিনটি ব্যাংকের হচ্ছে এবং পরে আরো আটটি ব্যাংকে বিশেষ নিরীক্ষা হবে। এটি মূলত আইএমএফের শর্তের অংশ। আমাদের প্রকৃত আর্থিক পরিস্থিতি যাচাই করতেই এই নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ এবি ব্যাংক নিয়মিত তার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এখানে ব্যাংক একীভূত করা হবে এমন কিছুই না।
কিছুদিন আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ নিউজ হওয়াতে গ্রাহকের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করেছে, আমি এটা বুঝতে পেরেছি। আমি মনে করি আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই, এতে আমি কোন ঝুঁকি দেখছি না। ব্যাংক সংস্কারের এটি একটি অংশ মাত্র। আগে আরো কিছু ব্যাংক অডিট করা হয়েছে। এখন তিনটা ব্যাংক হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে জানিয়েছে, আগামীতে আরো ১১ ব্যাংক অডিট হবে। ধারাবাহিকভাবে আরো অনেক ব্যাংকই এর আওতায় আসবে। তবে আমি মনে করি, আমার ব্যাংক থেকে এ বিষয়টি বললে গ্রাহকের মধ্যে যতখানি বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা হবে, তার চেয়ে অনেক বেশি গ্রাহক আস্থা বাড়বে যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে, এ অডিট ফার্ম দিয়ে তারা কী করতে চাচ্ছেন। কারণ লক্ষ করে দেখবেন, ৫ আগস্টের পরে হঠাৎ করে ব্যাংক থেকে প্রচুর টাকা তোলা শুরু হয়। কিন্তু গভর্নর স্যার যখন বললেন, সাধারণ জনগণের টাকা নিরাপদ আছে। সঙ্গে সঙ্গে টাকা তোলা কমে গেলো এবং টাকা আবার ব্যাংকের ফেরত এসেছে। সুতরাং আমাদের ব্যাংক থেকে বললে গ্রাহক যতোটা আস্থা পাবেন তার চেয়ে অনেক বেশি আস্থা পাবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে কোন ম্যাসেজ দিলে।
ভোরের কাগজ: অনেক ব্যাংক যেখানে টাকা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে আপনি বলছেন গ্রাহক কখনো টাকা না নিয়ে ফেরত যাননি। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কিভাবে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হলো?
সৈয়দ মিজানুর রহমান: জনগণের আস্থা তো ছিলই পাশাপাশি আমাদের কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছিল। যেমন আমরা ব্যাংকের বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি। ম্যানেজমেন্টে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের অতীত গৌরব ধরে রাখতে। যদিও কিছুটা পিছিয়ে গেছি, আশা করছি তা শিগগিরই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবো। আমাদের প্রতিষ্ঠানে সরকারি ডিপোজিটগুলো এখনো রয়েছে, নতুন করেও পাচ্ছি।
ভোরের কাগজ : ব্যাংকিং খাতের গলার কাটা খ্যাত খেলাপি ঋণ কার্পেটের নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে। ফলে প্রতিনিয়ত এর পরিমাণ বাড়ছে। আপনার ব্যাংকের খেলাপি ঋণও অনেক বেশি। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
সৈয়দ মিজানুর রহমান: খেলাপি ঋণ আদায়ে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। তবে চাইলে বড় খেলাপিদের কাছ থেকে দিনে দিনে খেলাপি ঋণ আদায় সম্ভব না। এখানে একটা আইনের জটিলতা রয়েছে। সেই জটিলতা ভাঙতে সময়ের ব্যাপার। তবে ছোট ছোট গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য একটি টাস্কফোর্স ও বিশেষ পুনরুদ্ধার দল গঠন করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ফলোআপ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ আদায় নিশ্চিত করতেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গত পাঁচ মাসে আমরা প্রায় ১৬শ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায় করতে পেরেছি এবং পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
ভোরের কাগজ: এবি ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাবেন?
সৈয়দ মিজানুর রহমান: বর্তমানে সারা দেশে ১০৪টি পূর্ণাঙ্গ শাখা, সাব-ব্রাঞ্চ, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ২৭০টিরও বেশি এটিএম নিয়ে এবি ব্যাংক সারা দেশে নির্ভরযোগ্য ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, ভারতের মুম্বাইয়ে একটি শাখা, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে একটি প্রতিনিধি অফিস এবং হংকংয়ে নিজস্ব মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি এবি ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেড পরিচালনা করছে। এ ছাড়া, ব্যাংকটির পাঁচটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট এবং কাস্টোডিয়াল সার্ভিসও অন্তর্ভুক্ত, যা আর্থিক খাতে ব্যাংকের সামর্থ্যকে করেছে আরো বিস্তৃত। এখন আমানত বাড়াতে নতুন আমানত পণ্য চালু করা হয়েছে। চলতি বছরের সাত মাসে এবি ব্যাংকের নতুন আমানত সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ব্যাংকে নতুন হিসাব খোলা হয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি। গত সাত মাসে রেমিটেন্স এসেছে ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এসব অর্জনের মাধ্যমে এবি ব্যাংক তার সুনাম ধরে রাখতে পারবে বলে আমি আশা করছি।
ভোরের কাগজ: এবি ব্যাংকের বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য ও সেবার বিষয়ে বিস্তারিত বলুন?
সৈয়দ মিজানুর রহমান: ব্যাপক বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য ও সেবার মাধ্যমে এবি ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোর মাঝে তার অবস্থান নিশ্চিত করেছে। কার্যত প্রত্যেক গ্রাহকশ্রেণিকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে এবি ব্যাংক ব্যাপক পরিসরের আমানতি ও ঋণসুবিধা দিচ্ছে। স্টুডেন্ট ব্যাংকিং থেকে প্রায়োরিটি ব্যাংকিং সবই রয়েছে এবির ব্যাংকিং পণ্যের ভান্ডারে। ব্যাংকের পণ্যের সম্ভার খুবই সমৃদ্ধ। উদ্ভাবনী পণ্য এবং সেবা চালু করা হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) ঋণ, নারী উদ্যোক্তা ঋণ, ভোক্তা ঋণ, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক), এটিএম, ইন্টারনেট ও এসএমএস ব্যাংকিং, রেমিট্যান্স সেবা, ট্রেজারি পণ্য ও সেবা, করপোরেট স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স, ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ ও সম্প্রসারণকরণ, বিনিয়োগ ব্যাংকিং, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ পণ্য ও সেবা, প্রায়োরিটি ব্যাংকিং এবং গ্রাহক সেবাসহ সব ক্ষেত্রে। এবি ব্যাংকের রয়েছে উন্নতমানের পণ্য ও সেবা এবং নিষ্ঠাবান রিলেশনশিপ ম্যানেজারগণ, যারা গ্রাহকের আর্থিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা এবং অগ্রাধিকার প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভোরের কাগজ: বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে কী কী চ্যালেঞ্জ আপনি দেখছেন?
সৈয়দ মিজানুর রহমান: বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে কয়েকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে বিনিয়োগে স্থবিরতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা, নন-পারফর্মিং লোন এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ও মান রক্ষা। এ ছাড়া ফিনটেক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রতিযোগিতা, কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিও বড় চ্যালেঞ্জ।
ভোরের কাগজ: ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাবেন?
সৈয়দ মিজানুর রহমান: মূলত ব্যাংক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যার মূল লক্ষ্যই হলো মুনাফা বাড়ানো। তবে এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। আপনারা জানেন, এবি ব্যাংক একসময় ব্র্যান্ড ব্যাংক ছিল, সেটা এবি ব্যাংক ধরে রাখার চেষ্টা করছে। সারা দেশে ব্যাংকের উপস্থিতি আছে। আমরা সারা দেশে নতুন উদ্যোমে ব্যাংকিং সেবা ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা চাই গ্রাহকদের গুণগত সেবা দিতে। এই লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে নতুন কিছু সেবাপণ্য গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছি। এখন আপাতত করপোরেট কোনো ঋণ আমরা দিচ্ছি না। ঋণ বিতরণে এখন আমরা কৃষি, এসএমই এবং অন্যান্য নিশ্চিত নিরাপদ খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।