৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা: তারেক রহমান
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত
‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লব শুধু একটি মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, বরং এ দেশের আধিপত্যবাদবিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা করেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজস্ব স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের কবলে ফেলে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বাকশালী সরকার ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের অধিকার হরণ করে স্বাধীনতার চেতনাকে বিপন্ন করে তোলে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কুচক্রী মহল স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে রাখলেও ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে সিপাহি ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসেন এবং সেই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই জিয়া মুক্তি পান।
আরো পড়ুন : মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, ফুঁসছে বিএনপির তৃণমূল
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়। তবে আধিপত্যবাদী শক্তির দেশীয় দোসররা ১৯৮১ সালে পৈশাচিকভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের হাতে রেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী সরকার গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতি ও অপশাসনের মাধ্যমে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ বেগম খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর বন্দি রেখেছে।
তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের ঘটনা গণতন্ত্রের মুক্তির নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। এখন প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আহ্বান জানান, ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি।
