শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের যাত্রী সেবা বন্ধের ঘোষণা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
মেট্রোরেলের সব যাত্রীসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) স্বতন্ত্র চাকরি–বিধিমালা প্রণয়নে বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৭টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে মেট্রোরেলের সব যাত্রীসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কর্মচারীরা আরো জানিয়েছেন, কর্মবিরতির পাশাপাশি প্রতিদিন ডিএমটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠার পর ১২ বছর পার হলেও প্রতিষ্ঠানটির ৯০০-এর বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারীর স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি–বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফলে ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট ভাতা–ওভারটাইম, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সসহ নানান আর্থিক সুবিধা এবং পদোন্নতির সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
কর্মচারীরা জানান, ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে চাকরি–বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের মুখে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে সার্ভিস রুল সম্পন্ন করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু নয় মাস পেরিয়েও আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি।
তাদের দাবি, সার্ভিস রুলের সব ধারা নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি থাকলেও প্রকল্পের জনবলকে কোম্পানির আওতায় আনার লক্ষ্যে সংযুক্ত ‘বিশেষ বিধান’ সরকারি নিয়ম ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এটি অনুমোদন করা যাচ্ছে না।
১০ ডিসেম্বর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় জানান, বিশেষ বিধান বাদ না দিলে সার্ভিস রুল অনুমোদন করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তিনি কোনো সময়সীমাও দিতে পারেননি।
কর্মচারীরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সার্ভিস রুল প্রকাশ না হলে ১২ ডিসেম্বর ভোর থেকে তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবেন এবং মেট্রোরেলের যাত্রীসেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক বিলম্ব, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং বিতর্কিত বিশেষ বিধান বজায় রাখার কারণে তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কর্মসূচির ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
