১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন জি কে শামীম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম

১০ বছরের সাজা থেকে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
অর্থ পাচারের মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তার আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থ পাচার আইনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন অধস্তন আদালত। এছাড়া তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজা ছাড়াও আসামিদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ দিনের মধ্যে এ জরিমানা পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত এক বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শ লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। দেশ ও জাতির শত্রু অপরাধীরা। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম। এদিন সেই আপিলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১–এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর বিচার শুরু হয়।
গত ১৫ জুন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৫ জুন রায়ের দিন ধার্য করা হয়। তবে ওই দিন রায় না দিয়ে ১৭ জুলাই (গতকাল) দিন ধার্য করেন আদালত। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।