অপরাধ
সারাদেশে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে খুনখারাবি
আজিজুর রহমান জিদনী
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে খুনখারাবি। একের পর এক নৃশংস ও প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে খুনের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহে (১০-১৫ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কমপক্ষে ২৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটেছে। ৭ দিনে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭টি মরদেহ। ২৮টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে খোদ রাজধানীতে ঘটেছে ৭টি খুনের ঘটনা। এসব ঘটনায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মী হত্যার শিকার হন। রাজধানীতে এক দিনেই উদ্ধার করা হয়েছে দুই ছাত্রদল নেতার মরদেহ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি হিসাব বলছে, গত ১০ মাসে রাজধানীতে গড়ে ২০টির মতো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জে ৮ দিনে ঘটেছে ৩টি খুনের ঘটনা। আর চট্টগ্রামে ৩ দিনের ব্যবধানে উদ্ধার করা হয় চারজনের মরদেহ। বন্দরনগরীতে এক রাতেই ঘটেছে ৩টি হত্যার ঘটনা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে অস্থির সময়ের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত আগস্টের পর একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাাচ্ছি আমরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকটা সময় পেরুলেও নাজুক পরিস্থিতি এখনো বিদ্যমান রয়েছে, এমনটাই অনুভ‚ত হচ্ছে। এ অবস্থায় খুনসহ নানা ধরনের দুর্বৃত্তায়ন বাড়বে- অপরাধ বিজ্ঞান এমনটাই বলে। তবে এসব রোধে রাজনৈতিক থেকে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবস্থার একটা ভারসাম্যের জায়গায় যেতে হবে। শক্ত হাতে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আর এ কাজটা খুব দ্রুত করতে হবে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর অনেকেই জামিনে এখন বাইরে। এদের মধ্যে সমাজের অস্থিরতা জন্য দায়ী হতে পারেন এমন অনেকের জামিন হয়েছে। তাদের অবস্থা বিবেচনায় সমাজের জন্য যারা ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে- তাদের দ্রæত ফের আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া বৈধ-অবৈধ দুই ধরনের অস্ত্রই সরকারের জিম্মায় নিয়ে আসতে হবে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর লুট করা অনেক অস্ত্র যদিও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১ হাজার ৩৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই লাখ ৫৭ হাজারের বেশি গুলি এখনো বেহাত রয়েছে। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৪২১টি অস্ত্র।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ১৪ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ১৭০ জন নিহত ও ৮ হাজারের বেশি ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংগঠনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আধিপত্য বিস্তার, প্রতিশোধপরায়ণতা, দলীয় কমিটি গঠন, চাঁদাবাজি ও স্থাপনা দখল- এসবই সহিংসতার প্রধান কারণ। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে নথিবদ্ধ হয়েছে ১ হাজার ৪৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা। এর মধ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসব ঘটনায় ৮৮ জন নিহত ও ৫ হাজার ৩৩৭ জন আহত হন। বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে ৩৪ জন নিহত ও ১ হাজার ১৪১ জন আহত হন, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ১২ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। এনসিপির দ্ব›েদ্ব আহত হন ৬২ জন। রাজনৈতিক পরিচয় অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে বিএনপির ১০৪ জন, আওয়ামী লীগের ৩৮ জন, জামায়াতের ৩ জন, এনসিপির ১ জন ও পার্বত্য সংগঠন ইউপিডিএফের ১০ জন রয়েছেন। ৪ জনের পরিচয় অজ্ঞাত।
এইচআরএসএস সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, দেশের স্বনামধন্য পত্রিকাগুলো থেকে তথ্য নিয়ে আমরা পরিসংখ্যান তৈরি করেছি। হত্যার ঘটনা আসলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, পটপরির্তনের একটা সময় পেরুলেও পুলিশ এখনো আগের অবস্থানে ফেরত যেতে পারেনি। সামনে নির্বাচনের কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। নানা ঘটনায় রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা চলছে। এখন আসলে এসবের লাগাম টেনে ধরতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশলিতার জায়গায় যেতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সামাজিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে দুষ্টের দমনে কঠোর হতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
৩ যুগের বেশি সময় ধরে অপরাধ নিয়ে সাংবাদিকতা করা সিনিয়র সাংবাদিক পারভেজ খানের মন্তব্য- সরকার বদল বা নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতা ও প্রভাবের লড়াই সহিংসতার মূল উৎস। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও পুলিশের দুর্বল ভ‚মিকা পরিস্থিতি আরো জটিল করছে। রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা আর কার্যকর আইনশৃঙ্খলা না ফিরলে সহিংসতার এই চক্র চলতেই থাকবে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর আমরা এক পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাাচ্ছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে- যা বিদ্যমান রয়েছে- এমনটাই এখনো অনুভূত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খুনসহ নানা ধরনের দুর্বৃত্তায়ন বাড়বে অপরাধ বিজ্ঞান এমনটাই বলে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বাড়ছে দেখছি। চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে গত সোমবার পল্লবীতে হত্যার ঘটনা দেখেছি। এর ভেতর আমরা ড্রামের ভেতর থেকে ২৬ টুকরা লাশ পাওয়ার ঘটনা দেখেছি। আবার পুরান ঢাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করে হত্যার ঘটনা দেখেছি। এসব হত্যাকাণ্ড বিশ্লেষণ করলেই রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সঙ্গে একটা যোগসূত্র বের করা যাবে। আর হ্যাঁ পুলিশের মনোবল আগে থেকে ভালো হলেও তারা এখনো আস্থার জায়গায় যেতে পারেনি। এসব ঘটনার লাগাম টেনে ধরতে আসলে রাজনৈতিক থেকে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবস্থার একটা ভারসাম্যের জায়গায় যেতে হবে। শক্ত হাতে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আর একটা কাজ খুব দ্রুত করতে হবে- আমরা দেখেছি হাসিনা সরকার পরিবর্তনের পর অনেকের জামিন হয়েছে। এখানে অনেকেই জামিন পেয়েছেন- যারা সমাজের অস্থিরতা জন্য দায়ি হতে পারেন। আমরা পুরান ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ড দেখলাম সেখানেও ভুক্তভোগী জামিনে বের হন। এরপর এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জের ধরে খুন হন। তো দ্রুত জামিনে যারা বের হয়েছেন, তাদের অবস্থা বিবেচনায় যারা সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে তাদের দ্রুত আবার আইনের আওতায় নিতে হবে। এছাড়া বৈধ ও অবৈধ দুই ধরনের অস্ত্রই সরকারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া অনেক অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি। তাই দ্রুত অপরাধ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ও এর বাইরে বিশেষ কিছু এলাকা বা জেলায় খুনের ঘটনা বেড়েছে। রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব বা আধিপত্য বিস্তার নিয়েও কিছু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
তবে পরিসংখ্যানে অপরাধ বেশি মনে হচ্ছে কারণ, আগের অনেক মামলা এখন হচ্ছে বা হয়েছে। যেমন এক যুগ আগের ঘটনাতেও সম্প্রতি মামলা হয়েছে। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সামনেই নির্বাচন। আর আমাদের দেশে ৯০ দশকের পর থেকে একটা ট্রেন্ড দেখা গেছে, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে একটু। তবে অধিকাংশ ঘটনায়ই পুলিশ অপরাধীদের ধরতে সমর্থ হচ্ছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গত ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮টি হত্যাকাণ্ডেরর ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, শুধু রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ২০টির মতো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এসব ঘটনার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা, পূর্ব শত্রুতার জের, আধিপত্য বিস্তার এমনকি অজ্ঞাত নবজাতকের লাশ উদ্ধারও রয়েছে। তবে বিগত দশ বছরের অপরাধ তথ্য পর্যালোচনা করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।
গত শনিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর স্বামী নিজেই নিজের গলায় ছুরি চালান আত্মহত্যার জন্য। একই দিন, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়ার পর মো. সরোয়ার হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পুলিশ জানায়, সরোয়ার হাওলাদার এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতেন। এ নিয়ে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। অন্যদিকে একই দিন সকালে ঝিনাইদহে জমি নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে মাহবুব হোসেন নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীতে একই দিনে মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একজনের মরদেহ গুলশানে, অন্যজনের মোহাম্মদপুরে পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন- পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সৌরভ ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ।
এর পরদিন গত বুধবার ভোরে রাজধানীর বাড্ডার কমিশনার গলিতে মামুন শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই দিন রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে চোর সন্দেহে মো. বাপ্পি নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর সূত্রাপুরে সাইফ মামুন নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় শুটারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও হত্যার পরিকল্পনাকারী রনিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অপহরণের পর হত্যা করা হয় ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায়কে। গত মঙ্গলবার ভোরে শাহআলী থানার দিয়াবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৭ নভেম্বর রাতে অপহরণের শিকার হন সুদীপ্ত। পরে তার পরিবারের কাছে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রাম থেকে আশরাফুল হক (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীর ২৬ খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আধিপত্যের বিরোধে মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দিতে গত মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বিএনপি কর্মী রায়হান খান। এ নিয়ে গত সোমবারের সংঘর্ষের বলি হন বিএনপির দুই কর্মী। তাছাড়া দলটির দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ও গুলিতে আট দিনের ব্যবধানে ঝরেছে তিন কর্মীর প্রাণ। শুধু চট্টগ্রামের হাটহাজারীতেই তিন দিনের ব্যবধানে উদ্ধার করা হয় চারজনের মরদেহ। এর আগে গত মাসে এই উপজেলায় প্রকাশ্যে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পরপর এসব ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত উপজেলার তিন ইউনিয়ন থেকে ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত সোমবারও পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার ঘটনা ঘটে। দোকানে ঢুকে হেলমেট পরিহিত ৩ জন তাকে গুলি করে হত্যা করে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে একজনকে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নদী থেকে গত সাত দিনে ৭টি মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নৌপুলিশের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে অপরাধ পরিস্থিতি বিচেনা করা যায় না উল্লেখ করে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া অ্যান্ড পিআর এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, যেখানেই অপরাধ ঘটছে তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। অনেক ঘটনাতেই আসামিকে গ্রেপ্তারসহ হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার আরো উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
