মোবাইল ফোনে কথা ও ইন্টারনেটের খরচ বাড়ল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম

প্রতীকী ছবি
মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত আছে। এটি আরো ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে রিচার্জ করার সময় এই অর্থ কেটে রাখা হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানিয়েছেন। এ প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়ার কথা।
সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে মোবাইল ফোন অতি প্রয়োজনীয় সেবা। কথা বলার পাশাপাশি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ—এসব জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। ফলে এসব চালাতে খরচ আরো বাড়বে।
বর্তমানে প্রতি ১০০ টাকার টকটাইম পেতে হলে ১৩৩ টাকা ২৫ পয়সা রিচার্জ করতে হয়। নতুন প্রস্তাবের কারণে ১০০ টাকার টকটাইম পেতে ১৩৯ টাকা রিচার্জ করতে হবে। আরো সহজভাবে বলা যায়, ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার ২৮ টাকা শুল্ক-কর পাবে। বাকি অর্থের সমপরিমাণ টকটাইম পাবে গ্রাহক।
আরো পড়ুন: ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর প্রথমবারের মতো ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা একাধিক দফায় বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।
এই খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সম্পূরক শুল্কহার বৃদ্ধি গ্রাহকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে। বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরো বেগবান করবে। সার্বিকভাবে করহার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্য সফল হবে না। কারণ, ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ৩৭ লাখ। তবে এক ব্যক্তির একাধিক মোবাইল ফোনের হিসাবও এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দেশে ১২ কোটি ৫১ লাখ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।