শাহজালালে ভয়াবহ আগুন: ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বিশেষ তহবিলের আহ্বান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ আমদানি ও রপ্তানি পণ্য পুড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। পোশাক, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স, কৃষিজ, চামড়া, প্লাস্টিকসহ প্রায় সব রপ্তানিনির্ভর এবং আমদানিনির্ভর খাত এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এক বার্তায় এমন কথা জানান বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিসিএমইএ) সভাপতি আতিকুর রহমান।
বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (BCCMEA) সভাপতি ও ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আতিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “এই দুর্ঘটনা শুধু কিছু নির্দিষ্ট খাত নয়, বরং দেশের সমগ্র আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।”
তিনি সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তুত করে ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করা। পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (NBR) ‘কর মওকুফ’ ও ‘শুল্ক ছাড়’ প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
আতিকুর রহমান সহজ শর্তে ঋণ এবং বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানিয়ে বলেন, “সমগ্র শিল্পখাত এখন ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। এই মুহূর্তে সরকারের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আরও জানান, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন সম্মিলিতভাবে সরকারের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করবে, যাতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়।
ব্যবসায়ী মহলের মতে, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অর্থনীতিতে এই অগ্নিকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাসম্পন্ন পাটখড়ির চারকোল, যা বিসিসিএমইএ রপ্তানি করে থাকে, এ দুর্ঘটনার ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই চারকোল ব্যবহার হয় আতশবাজি, কার্বন পেপার, প্রিন্টারের কালি, মোবাইল ব্যাটারি, এমনকি দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ তৈরিতেও।