৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:০০ পিএম

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। ফাইল ছবি
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এন.টি.আর.সি.এ.) কর্তৃক আয়োজিত ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. সি আর আবরার বলেন, সারাদেশে ১ লাখ ৮২২টি শূন্যপদের চাহিদার বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় ৪১ হাজার প্রভাষক/শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক চাহিদা প্রদান এবং নির্ধারিত যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ সুপারিশ, এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি অধিক স্বচ্ছতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ আমরা অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এন.টি.আর.সি.এ.) কর্তৃক আয়োজিত ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আমি এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, এবারের ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৮১ হাজার ২০৯ জন এবং উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন।
তিনি বলেন, এই বিশাল সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় আমি এনটিআরসিএ কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রম এবং স্বচ্ছতার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রম সম্পর্কে আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই, আমরা শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছি, যারা আগামী প্রজন্মকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, যারা সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত এবং নির্দিষ্ট বিষয়ের উপযুক্ত, তাদের তথ্য ডিজিটালি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমি আশা করি, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ডিজিটাল রূপান্তর আগামী দিনগুলোতে আরো শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।