৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মো. তানজিমুল আজিজ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়–অধিভুক্ত সাত কলেজকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই অগ্রগতি জানার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তানজিমুল আজিজ বলেন, প্রতিনিধি দলের ২৩ জন সদস্য শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরারের পিএসসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, অধ্যাদেশের কাজ এখন দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। এ ধাপটি সবচেয়ে বেশি সময়সাপেক্ষ হলেও, এটি শেষ হলেই প্রায় পুরো কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তাই দ্রুত বাকি কাজ শেষ করে অধ্যাদেশ জারির আশ্বাসে আপাতত আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অধ্যাদেশ প্রণয়নের অংশ হিসেবে জমা পড়া প্রায় ছয় হাজার ই-মেইল যাচাই-বাছাই ও নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। জনবল সংকটের কারণে আগে দুজন কর্মকর্তা এই দায়িত্বে ছিলেন, এখন চাপ অনুধাবন করে পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তানজিমুল আজিজ জানান, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে পরামর্শ শেষ করার পর পরবর্তী ধাপ শুরু হবে। কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এরপর প্রতিটি ধাপ চার দিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকভাবে চললে অধ্যাদেশ শিগগিরই ক্যাবিনেটে উঠবে। তবে প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা দেশে থাকলে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত সম্পন্ন হবে, অন্যথায় হয়তো কয়েক দিন দেরি হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আজিজ বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি—অধ্যাদেশের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন। এখন শান্তিপূর্ণভাবে অপেক্ষা করলেই ফল আসবে। শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের বলেছেন— আমরা যেন আন্দোলনে এমন কিছু না করি যাতে প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
তানজিমুল আজিজ আন্দোলন স্থগিতের আহ্বান জানালেও আন্দোলনের সময় আহত কয়েক শিক্ষার্থীর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, আমাদের একজন শিক্ষার্থীকে আঘাত করেছেন, যার মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে। আরও দুজন আহত হয়েছে, একজনকে ঢাকা মেডিকেলে সিটি স্ক্যান করতে হয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনারও তদন্ত হোক।’
তিনি জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মানসিক ও শারীরিকভাবে কঠিন সময় পার করছেন, তবে অধ্যাদেশ প্রণয়নের অগ্রগতি দেখে তারা আশাবাদী হয়েছেন।