ভারতীয় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজের ক'টা বাচ্চা হলো বা কত টাকা খরচ হলো, এই ধরনের চর্চা করে নিজেদের শিক্ষার পরিচয়টা আর বাড়াবেন না।

এ ধরনের চর্চা যে আদতে তাদের প্রচারের আলোয় রাখছে, তা নিজেও মনে করেন শ্রীময়ী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মঙ্গলবার বিধানসভায় ৬ লাখ টাকার বিল জমা দেন কাঞ্চন। বিধায়ক-অভিনেতাকে নিয়ে তাই আবার বিতর্ক। কীভাবে এত বড় অঙ্কের বিল হয়? এ প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। 

শ্রীময়ী লিখেছেন, আমাদের অযথা অতি-মূল্যবান বানিয়ে দেবেন না। এই পৃথিবীর অনেকেই মা হয়েছেন তাদের নিজেদের মতো করে, নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী এবং একান্ত ব্যক্তিগতভাবে, নিজেদের পছন্দমতো চিকিৎসক ও হাসপাতালে। তাই আমি কোনো বিরল মা নই। 

দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে গত ৩ নভেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কাঞ্চন-পত্নী শ্রীময়ী চট্টরাজ। দিন কয়েকের মধ্যেই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন দম্পতি।

নবজাতক বা প্রসূতির কোনো শারীরিক জটিলতার খবর জানা যায়নি। তবে সন্তান প্রসবের সময় ওই বেসরকারি হাসপাতালে খরচ হয়েছে ৬ লাখ টাকা। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে। 

বিধানসভায় কাঞ্চন মেডিকেল বিল জমা দেয়ার পর থেকেই শ্রীময়ীকেও অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সে প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন অভিনেতার স্ত্রী। 

ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রীময়ী দাবি করেন, সরকারি কর্মী হিসাবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ পেতেই পারেন তার স্বামী। তাছাড়া কে কোথায় খরচ করবেন তা নিয়েও কারও মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। 

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, বিধানসভায় বিল জমা দিয়েছে কি দেয়নি সে বিষয়ে আমি উত্তর দেয়ার কেউ নই। তার কারণ আমি বিধানসভার সদস্য নই। আর আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় যেটা বলে, যা দেখেছি এতকাল ধরে, যে কোনো সরকারি কর্মচারী (রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী) তারা তাদের মেডিকেল পরিষেবাটা পায়। এটাই সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় সুবিধা।

কিন্তু চিকিৎসকের পারিশ্রমিক কেন এত বেশি, এ প্রশ্নের উত্তরে শ্রীময়ীর দাবি, চিকিৎসার পারিশ্রমিক নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তারা একবার চিকিৎসকের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা বিচার করে তারপর প্রশ্ন করুন। আর একটা কথা জানাতে চাই, ডাক্তারবাবুর একমাত্র রোগী কাঞ্চন মল্লিক বা শ্রীময়ী চট্টরাজ নন। একবার ডাক্তারবাবুর সেই দিকটা যাচাই করে এবং ডাক্তারবাবু কে, ডাক্তারবাবুর রোগী কারা এবং তার সম্বন্ধিত সমস্ত তথ্য যাচাই করে তারপর বিভিন্ন মন্তব্য পেশ করা উচিত বলে আমার মনে হয়।

শ্রীময়ীর সাফ কথা, কে কোন চিকিৎসককে বেছে নেবেন, কে কোন রেস্তোরাঁয় খাবেন, কে কোন জামাকাপড় পরবেন, কোথা থেকে কিনবেন, কার সরকারি না বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানের ডেলিভারি হবে, এটা একান্ত তাদের ব্যক্তিগত মতামত। এ নিয়ে দয়া করে অনধিকার চর্চা আপনারা করবেন না।

অভিনেত্রী মনে করেন না তারা কোনো অপরাধমূলক কাজ করেছেন। তাই তার অনুরোধ, অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার, সমালোচনা করার বা চর্চা করার বিষয় রয়েছে।