রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সমন্বিত নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করা হবে। এই প্রটোকলের আওতায় রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা এবং সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকবে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তাদের সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : হাদির হামলাকারীরা ভারতে পালিয়েছে, এমন তথ্য নেই পুলিশের কাছে
প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যেন কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই দেশের সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের ভেতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পুলিশ ইতোমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন আরো কয়েকজনকে ইতোমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
হাইকমিশনারকে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকে দিচ্ছেন।
এ সময় ভারত সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তারা অবিলম্বে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের এসব ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
এ ছাড়া শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তারা ভারতে প্রবেশ করলে যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের আটক করে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নেয় সে অনুরোধও জানানো হয়েছে।
