আরজি করে ধর্ষণ, নতুন যে তথ্য জানা গেল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সে দিন রাতে যৌনপল্লিতে গিয়েছিলেন, এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ফিরে আরজি করে ঢোকেন তিনি। তার পরেই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্তের গতিবিধি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে আগেই জানা যায়, সে দিন রাত ১১টা নাগাদ আরজি করের সিসিটিভিতে অভিযুক্তকে দেখা যায়। তখন তিনি হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। তার পর কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার বেরিয়ে যান। বাইরে কোথাও তিনি মদ খেয়েছিলেন বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পরে আবার হাসপাতালে ফেরেন। জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলের কাছে সিসি ক্যামেরায় তাকে দেখা যায় ভোর ৪টার দিকে। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পর সেখান থেকে আবার বেরিয়ে যান অভিযুক্ত।
সিবিআই সূত্রে খবর, রাতে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যৌনপল্লিতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তার সঙ্গে এক বন্ধুও ছিলেন। তবে যৌনপল্লিতে গিয়ে অভিযুক্ত কেবল মদ খেয়েছিলেন বলেই দাবি করেছেন তদন্তকারীদের কাছে। সেখান থেকে আবার আরজি করে ফেরেন তিনি। তার পরেই চার তলার সেমিনার হলে এই ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসকদের
শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সে দিন রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ এবং সেমিনার হল থেকে উদ্ধার একটি ছেঁড়া হেডফোনের সূত্র থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পুলিশ পরে জানায়, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। এই ঘটনার প্রতিবাদে আরজি করসহ শহরের প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তারা। ফলে বিভিন্ন হাসপাতালে বহির্বিভাগের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। আন্দোলন ক্রমে রাজ্য ছাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত মঙ্গলবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযুক্তকে তার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।