যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘গুরুতর’ ক্ষতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১১:২০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ‘ব্যাপক ও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা।
কিন্তু এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা আগেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ক্ষয়ক্ষতির কথা অস্বীকার করে বলেছিলেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি ছিল, হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় খামেনি ওই মন্তব্য করেছিলেন।
তাছাড়া ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর এদিন প্রথম প্রকাশ্য ভাষণে খামেনি বলেছিলেন, তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘জয়’ দাবি করে তিনি বলেন, ট্রাম্প হামলার ‘প্রভাব অতিরঞ্জিত’ করছেন। কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচির বক্তব্যে ভিন্ন চিত্রই ফুটে উঠেছে।
এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানকে ‘ঐতিহাসিকভাবে সফল’ বলে বর্ণনা করেন এবং ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন।
মাটির অনেক গভীরে অবস্থিত ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র খুবই শক্তিশালী ‘বাঙ্কার-বিধ্বংসী’ বোমা ব্যবহার করেছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির স্বীকারোক্তি দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরুর কোনও পরিকল্পনার কথা নাকচ করেছেন।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার আগেই ইরানে ইসরায়েলের হামলায় সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, নতুন করে সংলাপ শুরুর জন্য কোনও সম্মতি, আয়োজন কিংবা আলোচনা চলছে না।