প্রকাশ্যে এসেই ‘বোমা ফাটালেন’ নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সরকারের পতনের পর ১০ দিন পালিয়ে থেকে অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এসেই আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু নিয়ে ‘বোমা ফাটালেন’ তিনি। সাবেক নেপালি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হত্যা করেনি, বরং ‘অনুপ্রবেশকারীরা’ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে তাদের মেরে ফেলেছে। পুলিশের কাছে এমন অস্ত্র নেই।
নেপালে নজিরবিহীন দুর্নীতি-অনিয়ম ও বেকারত্বের প্রতিবাদে চলতি মাসের শুরুর দিকে জোরালো হয় জেন-জি বিক্ষোভ। আন্দোলন দমনে একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে তা আরো সহিংস হয়ে ওঠে। গত ৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীরা রাজপথে নামলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে ১৯ জন নিহত হন এবং আরও কয়েকশ আহত হন।
পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। বিক্ষোভের মুখে গত ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীদের আগুন ও সহিংসতার মধ্যে তাকে ও অন্যান্য মন্ত্রীদের গোপন আশ্রয়ে সরিয়ে নেয় নেপালি সেনাবাহিনী। এরপর কয়েকদিনের আলোচনার পর গত সপ্তাহে নতুন সরকারের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেন সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সেনা নিরাপত্তায় ৯ দিন কাটানোর পর কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউনিফাইড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) চেয়ারম্যান ওলি ব্যক্তিগত জায়গায় চলে গেছেন। তবে তিনি কোথায় তা প্রকাশ করা হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধম ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ্যে এসেছেন ওলি। এসেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। নেপালের সংবিধান দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়নি।
ওলি অভিযোগ করেন, বিক্ষোভে ‘অনুপ্রবেশ’ হয়েছে, যার তদন্ত প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়নি। বিক্ষোভকারীদের ওপর তা চালানো হয়েছিল স্বয়ংক্রিয় বন্দুক থেকে, যা নেপালি পুলিশের কাছে ছিল না। এটা তদন্ত করা উচিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনুপ্রবেশকারী ষড়যন্ত্রকারীরা আন্দোলনকে সহিংস করে তুলেছিল এবং এভাবে আমাদের যুবকদের হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষমতাচ্যুত নেতা উল্লেখ করেন, তার পদত্যাগের পর বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন পুড়িয়ে দেয়া হয়, যা ইঙ্গিত দেয় বিক্ষোভে বাইরের শক্তি অনুপ্রবেশ করেছিল।