জুলাই গণহত্যা
অপরাধীরা কেউই ছাড় পাবে না : চিফ প্রসিকিউটর

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৩:২০ পিএম

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণহত্যার দায়ীদের কেউই রেহাই পাবে না। তিনি বলেন, যারা ভেবেছিলেন বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়ে পার পাওয়া যাবে বা প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে বিচারকাজ বানচাল করা যাবে, তাদের জন্য এটাই পরিষ্কার বার্তা—অপরাধীরা শাস্তি পাবে, বিচার থামবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে চানখারপুলে শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।
সূচনা বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম জানান, যেসব তরুণ রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার মুক্ত করেছেন, তাদের পরিবারের সদস্যরা জীবিত আছেন। তাদের সাক্ষ্যের মাধ্যমে দেড় হাজারের বেশি প্রাণ হারানো পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
আরো পড়ুন : ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরের বিরুদ্ধে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এদিন মামলার প্রথম সাক্ষ্য দেন শহীদ আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তার মা।
এর আগে, ১৪ জুলাই পলাতক চারজনসহ মোট আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। বর্তমানে গ্রেপ্তার চারজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন, শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন এবং মো. নাসিরুল ইসলাম।
৩ জুলাই অভিযোগ গঠন শুনানির দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন হয়। ওইদিন আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ শুভ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।
পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির হননি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম এবং সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
২৯ জুন রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করলেও আসামিপক্ষ অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চায়।
৩ জুন পলাতক চার পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ২৫ মে আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়। এতে শহীদ হন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক, এবং বহু মানুষ আহত হন।