ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরের বিরুদ্ধে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম

সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের বেপরোয়া আচরণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
১৯ জুলাই রামপুরায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে নাদিম ও বৃদ্ধ মায়া ইসলামকে হত্যা করে পুলিশ। এই ঘটনায় আহত হয় ৬ বছরের শিশু বাসিত খান মুসা ও এক যুবক আমির হোসেন।
রোববার মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। হাবিবুরসহ চারজন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান এবং সাবেক উপপরিদর্শক তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
আরো পড়ুন : এখনও উদ্ধার হয়নি পুলিশের লুট হওয়া দেড় হাজার অস্ত্র
এ মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি হলেন, রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে শিশুর মাথায় এবং দাদির পেটে আঘাত লাগার কারণে মায়া ইসলাম পরবর্তীতে মারা যান। ওইদিন একই এলাকায় নাদিম নামের এক ব্যক্তিও নিহত হন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে আন্দোলন দমনে হাবিবুর আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করেন। ৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশ গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যা করে।
তদন্তকালে উদ্ধার হওয়া অডিও ক্লিপে হাবিবুরের গুলি চালানোর নির্দেশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার তত্ত্বাবধানে রামপুরা, বনশ্রী এলাকায় পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। যেখানে প্রায় ২৩ জন নিহত হন এবং আরো অনেকে আহত হন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর নিষ্ঠুরতার মাত্রা ছাড়িয়ে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে আমির হোসেন নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
মামলার প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন, এই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।