ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধের হাইকোর্টে রিট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আইনি উদ্যোগের মাধ্যমে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেছেন সিরাজগঞ্জের অ্যাডভোকেট মো. রাকিবুল হাসান।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের আইজি, কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি করতে পারেন।
রিটে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বাদী অভিযোগ করেন, নোবেল তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং মামলাটি বিচারাধীন ছিল।
আসামির পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি চাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ ঘটনা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং নোবেলের ঝলমলে ছবি যুক্ত করে প্রকাশ করা হয়।
রিটে বলা হয়েছে, কারাগার ও আদালত প্রাঙ্গণে এই ধরনের ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে সামাজিক ও আইনগতভাবে বৈধতা দেওয়ার ফলে অপরাধীরা সহজে জামিন বা ক্ষমা পান। সালিস, আপস, চড়–থাপ্পড় বা বিয়ের মাধ্যমে অনেক অপরাধী বিচারপ্রক্রিয়া থেকে পার হয়ে যান।
বাদীপক্ষের বক্তব্য, ধর্ষণের শিকার নারীর সঙ্গে বিয়ে দিলেই অপরাধের গুরুতরতা কমে না। ধর্ষণ একটি জঘন্যতম ফৌজদারি অপরাধ, যেখানে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এমনকি আপস বা মীমাংসার কোনো সুযোগ নেই।
রিটে হাইকোর্টকে অনুরোধ করা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটার নিশ্চয়তা দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।