চানখারপুলে ছয় হত্যা মামলা
হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে রোববার (২৬ অক্টোবর)। সাক্ষ্যগ্রহণের ১২তম দিনের আজ ট্রাইব্যুনালে মামলার ২০ নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি ঘটনাটির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।
আসিফ মাহমুদের প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৯ অক্টোবর। তবে সেদিন শেষ না হওয়ায় প্রসিকিউশনের আবেদনের পর ১৬ অক্টোবর তার অবশিষ্ট জবানবন্দি গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আসিফ মাহমুদ তার জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরেন এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তিনি দাবি করেন, ডিবি পরিচয়ে তাকে রাতের আঁধারে গুমের চেষ্টা করা হয়েছিল। এসব ঘটনার জন্য তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ জড়িতদের দায়ী করেন।
এই মামলার গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
পলাতক আসামিরা হলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম এবং সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
গত ১৪ জুলাই ট্রাইব্যুনাল পলাতক চারজনসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ছয়জন নিহত হন— শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক। এই হত্যাকাণ্ড নিয়েই বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার বিচার চলছে।
