জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আরেকটি বিজয় অর্জিত হলো: আসিফ নজরুল
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি : সংগৃহীত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আরেকটি বিজয়ের দিন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার পর তাঁর মনে সবচেয়ে বেশি ভেসে উঠেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে প্রাণ হারানো মানুষেরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, আজ বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের মাটিতে ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ উদাহরণ স্থাপিত হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শত শত মানুষ নিহত হয়েছিলেন, হাজারো মানুষ আহত ও বিকলাঙ্গ হয়েছিলেন, সেই নৃশংস ঘটনার জন্য দায়ী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ আজ ঘোষণা হলো।
একইসঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডও ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরো পড়ুন : শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ড
আইন উপদেষ্টা বলেন, আজকের এই রায় আমাকে আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, ইয়ামিন, আনাসসহ সেই সব মানুষের কথা যারা প্রাণ দিয়েছেন। মনে হচ্ছে, আজ হয়তো তাদের বিদেহী আত্মা সামান্য হলেও স্বস্তি পাবে। তাদের পরিবারও এই রায়ের মধ্যে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা খুঁজে পাবে।
ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট, কিন্তু বিস্মিত নই। শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের এত শক্ত প্রমাণ ছিল যে, বিশ্বের যেকোনো আদালতই সর্বোচ্চ দণ্ড দিতো। একইসঙ্গে তিনি চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আমরা যতদিন দায়িত্বে আছি, বিচারকার্য পূর্ণ উদ্যমে চলবে। আগামী সরকারকেও অনুরোধ করব, এই বিচারের গুরু দায়িত্ব থেকে যেন কখনো পিছিয়ে না যায়।
উল্লেখ্য, চব্বিশের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের পাঠ শুরু করেন বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার।
