×

আইন-বিচার

গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ এএম

গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন

ছবি : সংগৃহীত

টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি)–এ বিরোধী মতের ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় শুনানি রয়েছে রোববার (২৩ নভেম্বর)। এ মামলায় গ্রেপ্তার থাকা ১৩ সেনা কর্মকর্তা সশরীরে হাজিরা না দিয়ে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে চান।

রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তাদের পক্ষে আইনজীবী মাইদুল ইসলাম পলক আবেদন দাখিল করেন।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মামলাগুলোর শুনানি নেবেন। এ সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পাশাপাশি পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ হতে পারে।

গ্রেপ্তার ১৩ সেনা কর্মকর্তা হলেন, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

সেনা কর্মকর্তাদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যরা মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রিত। দায়িত্বরতরা জানান, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

এর আগে ২০ নভেম্বর নির্ধারিত শুনানি প্রসিকিউশনের আবেদনে পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়। ২৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এ আদেশ দেন। ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা ১৩ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের নাম প্রকাশ করে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, যা ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

গত ৮ অক্টোবর প্রসিকিউশন পৃথক দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। টিএফআই সেলে নির্যাতন ও গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ১০ জন।

এই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদসহ আরও অনেকে।

জেআইসি বা আয়নাঘরে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে আরেক মামলায় শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলায় তিনজন কারাগারে থাকলেও বাকি ব্যক্তিরা পলাতক। উভয় মামলাই বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চিত্রনায়িকা পপি

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চিত্রনায়িকা পপি

পঞ্চগড়ে জেঁকে বসছে  শীত,  তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি

পঞ্চগড়ে জেঁকে বসছে শীত, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা, ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা, ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক

গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন

গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App