টনসিলের ব্যথা কেন হয়, কমানোর ঘরোয়া উপায়

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:৪৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মানুষের গলার ভেতর টনসিল নামক গ্রন্থি। কোনো কারণে এই গ্রন্থিতে প্রদাহ হলে তাকে টনসিলের ব্যথা বা টনসিলাইটিস বলা হয়। সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। এর ফলে গলা ব্যথা, জ্বর, খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, ঘাড়ে ফোলাভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টনসিলের ব্যথার লক্ষণ:
১. গলা ব্যথা: খাবার গিলতে বা কথা বলতে গেলে ব্যথা হতে পারে।
২. জ্বর: শরীর গরম লাগা বা জ্বর আসা সাধারণ একটি লক্ষণ।
৩. টনসিল ফুলে যাওয়া: টনসিল গ্রন্থিগুলো আকারে বড় ও লাল হয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
গলার গ্রন্থিগুলোতে (লিম্ফ নোড) ব্যথা হওয়া
কথা বলতে বা গিলতে অসুবিধা হওয়া
মাথা ব্যথা, দুর্বলতা এবং শরীরে ব্যথা হওয়া
কিছু ক্ষেত্রে, টনসিলের ওপর সাদা বা হলুদ রঙের দাগ দেখা যাওয়া
টনসিলের ব্যথার কারণ:
১. ভাইরাল সংক্রমণ: সাধারণ ঠান্ডা-কাশি বা ফ্লু’র কারণে টনসিলের প্রদাহ হতে পারে।
২. ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়ার কারণেও এমন ব্যথা হতে পারে। এই যেমন স্ট্রেপ্টোকোকাস ব্যাকটেরিয়ার কারণেও টনসিলাইটিস হতে পারে।
৩. অন্যান্য কারণ: অ্যালার্জি, শুষ্ক বাতাস বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স ইত্যাদিও টনসিলের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
টনসিলের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়:
কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে টনসিলের ব্যথা কমানো যায়। চলুন এমন কিছু উপায় জেনে নিই-
১. গরম পানি ও লবণের গার্গল:
এক গ্লাস গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গার্গল বা কুলকুচি করুন। এতে গলা ব্যথা ও প্রদাহ কমবে।
২. মধু ও লেবুর মিশ্রণ:
এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আরাম পাবেন। মধু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে এবং লেবু ভিটামিন সি সরবরাহ করে।
৩. গরম পানীয়:
গরম পানি, আদা ও মধু দিয়ে পানীয় তৈরি করুন। এই পানীয় পান করলে আরাম মিলবে। টনসিলের সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে এই পানীয়।
৪. নরম খাবার:
টনসিলের ব্যথা থাকলে খাদ্যতালিকায় রাখুন নরম খাবার, যেমন ডিম, স্যুপ এবং ওটস। এগুলো গিলতে সহজ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫. বিশ্রাম:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং কথা বলা এড়িয়ে চলা উচিত। এতে টনসিলের ওপর চাপ কম পড়ে এবং দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
৬. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা:
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। টনসিলের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে পানি।
৭. ঠান্ডা খাবার পরিহার:
ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন। এগুলো প্রদাহ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।